আড়াই হাজার বছর ধরে যে রহস্যের সমাধান হয়নি, করতে পারেননি তাবড় পণ্ডিতরা, সেই সমস্যার সমাধান করলেন এক শিক্ষার্থী। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর নাম ঋষি রাজপুত। ২৭ বছরের ঋষি সংস্কৃত এক ‘ধাঁধা’র সমাধান করে চমকে দিয়েছেন। প্রাচীন এই ভাষাতত্ত্বের অনেক রহস্য এখনও বিস্মিত করে পণ্ডিতদের। তেমনই পাণিনির ‘অষ্টাধ্যায়ী’ তত্ত্ব। এতদিন পরে তার সমাধান করে চমকে দিয়েছেন ঋষি।
কী এই ‘অষ্টাধ্যায়ী’? কিংবদন্তি এই বৈয়াকরণের এক ব্যকরণ সংক্রান্ত তত্ত্বের নামই ‘অষ্টাধ্যায়ী’। কোনও বাক্যে শব্দপ্রয়োগের ক্ষেত্রে তার সঠিক ব্যাকরণগত প্রয়োগের কৌশল এই তত্ত্বে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু সেটা বুঝে ওঠা যেত না। আসলে একটি বিশেষ পর্যায়ের পর একাধিক ধাপের কথা রয়েছে। আর সেটাই এমন রহস্যময়, যে সঠিক ভাবে অনুধাবন করা যেত না। কিন্তু এবার ঋষি সেই সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন।
প্রাচীন কাল থেকেই এই তত্ত্বের রহস্য সমাধান অধরা থেকে গিয়েছে। বহু সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতই চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সমাধান করা যায়নি। ঋষি দীর্ঘদিন ধরেই টানা কাজ করেছেন ওই তত্ত্বের কুয়াশাভেদ করার জন্য। যদিও একেবারে শেষে এসে কার্যতই হাল ছাড়ার পরিস্থিতি হয়েছিল তার। তার কথায়, ‘আমি এগোতে পারছিলাম না। একটানা ৯ মাস কাজ করার পর হাল ছেড়ে দিই। সেই ব্রেকটাই কাজে এসেছে। ছুটি কাটিয়ে ফিরে যখন নতুন করে শুরু করি তখনই সব বুঝতে পারি। উত্তেজিত হয়ে পড়ি। এরপর আড়াই বছরের মধ্যেই সবটা সমাধান করে ফেলেছি।’
ঋষির মতে, ‘ভারতের প্রাচীন জ্ঞানগুলি সংস্কৃতে ধরা আছে। আমাদের পূর্বপুরুষরা কী অর্জন করেছিলেন তা আমরা এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারিনি। আমার আশা, এই আবিষ্কার ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস, গর্ব এবং আশায় উদ্বুদ্ধ করবে। তারা আরও বড় কিছু অর্জন করতে পারবেন।’ সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন