ইনকিলাব ডেস্ক : আঙ্কারায় প্রকাশ্যে গুলি করে রুশ রাষ্ট্রদূত হত্যার ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন তুর্কি প্রেসিডন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত হত্যায় ফেতুল্লা গুলেন সংগঠন (ফেতু)দায়ী। এই ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলেও দাবি করেন তিনি। এরদোগান আরো বলেন, ওই আততায়ী সঙ্গে আন্তর্জাতিক কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছে তুরস্কের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। খবরে বলা হয়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন এ ঘটনায় কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এ হামলার নির্দেশদাতাকে খুঁজে বের করার ঘোষণা দিয়েছেন। রাশিয়া ও তুরস্ক বলেছে, এ হামলার উদ্দেশ্য স্পষ্টত দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নষ্ট করা। কিন্তু এ সম্পর্ক আরো জোরদার করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে উভয় দেশ।এরইমধ্যে রাশিয়ার তদন্তকারী দল তদন্ত করছে। রাজধানী আঙ্কারার একটি আর্ট গ্যালারিতে তুর্কিদের চোখে রাশিয়া শীর্ষক এক চিত্রপ্রদর্শনী পরিদর্শন করার পর বক্তৃতাকালে, তুরস্কে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কার্লভকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাকে পেছন থেকে গুলি করে আঙ্কারার দাঙ্গা পুলিশ স্কোয়াডের কর্মকর্তা মেভলুত মার্ট আলতিনতাস। রাষ্ট্রদূতের গায়ে ৯টি গুলি বিদ্ধ হয়। রাষ্ট্রদূত নিহত হওয়ার কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় তুরস্কের বিশেষ বাহিনী। তাদের হাতে নিহত হন আলতিনতাস। অপর এক খবরে বলা হয়, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় গত সোমবার রুশ রাষ্ট্রদূতকে গুলি করে হত্যাকারী পুলিশ সদস্য মেভলুত মার্ত আলতিনতাস প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বও পালন করেছেন। তুরস্কের মিডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে। হুরিয়াত ডেইলি জানিয়েছে, ওই পুলিশ সদস্য ১৫ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানচেষ্টার পর প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপের নিরাপত্তায় আটবার দায়িত্ব পালন করেছেন। আলতিনতাস নামের ২২ বছরের ওই পুলিশ অফিসার বুধবার একটি আর্ট প্রদর্শনীতে রুশ রাষ্ট্রদূতকে ৯টি গুলি করে হত্যা করেন। পরে তুর্কি পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। হুরিয়াত জানায়, আটটি ইভেন্টে ওই পুলিশ এরদোগানের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ছিলেন এরদোগানের নিরাপত্তাব্যবস্থার দ্বিতীয় স্তরে তথা প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীদের পরই ছিল তার অবস্থান। তুরস্ক সরকার মনে করছে, রুশ রাষ্ট্রদূত হত্যার পেছনে ১৫ জুলাইয়ে ব্যর্থ অভ্যুত্থান পরিচালনাকারী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ফেতুল্লাহ গুলেনের মদত রয়েছে। হুরিয়াতে বলা হয়, ১৫ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের সময় ওই পুলিশ অসুস্থ ছিলেন বলে পরে জানিয়েছিলেন। এখন বিষয়টি নিয়ে নতুন করে তদন্ত করা হচ্ছে। আনাদোলু নিউজ, এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন