বছরের প্রথম দিনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল ভারতের রাজধানী দিল্লি। গাড়ির নিচে পা আটকে যায় তরুণীর পা। যার জেরে প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা তাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় সেই ‘ঘাতক’ গাড়ি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে শুধু ছেঁচড়ে নিয়ে যাওয়াই নয়, মেয়ের উপর যৌন হেনস্তার অভিযোগও তুলেছিলেন মৃতা অঞ্জলি সিংয়ের মা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, তার সঙ্গে কোনও জোরজবরদস্তি করা হয়নি।
তরুণীর মা রেখা দাবি করেছিলেন তার মেয়েকে যৌন হেনস্তা করেছে অভিযুক্তরা। তিনি বলেন, “সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আমার মেয়ের দেহ। যৌন হেনস্তা না হলে দুর্ঘটনায় পুরো পোশাক ছিঁড়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমি এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চাই। সুবিচার চাই।” নির্ভয়ার মতো তার সঙ্গে যৌন নির্যাতন হয়েছে বলে দাবি করে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন পরিবারের অন্য সদস্যরাও। কিন্তু এদিন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পর তেমন আশঙ্কা কার্যত দূর হয়ে গেল। দিল্লির আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ কমিশনার এসপি হুডা জানান, তরুণীর গোপনাঙ্গে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। অর্থাৎ তাকে যৌন হেনস্তা করা হয়নি।
রিপোর্টে আরও জানা গিয়েছে, আতঙ্ক আর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই প্রাণ হারান অঞ্জলি। তার মাথা, শিরদাঁড়া, উরু এবং পায়ের নিচের অংশে আঘাত লেগেছিল। দীর্ঘ রাস্তা ছ্যাঁচড়ানোর কারণেই এধরনের চোট পেয়েছিলেন তরুণী বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।
ঘটনা দিল্লির সুলতানপুরির। স্কুটিতে করে যাচ্ছিলেন অঞ্জলি সিং। সেই সময়ই স্কুটিটিতে সজোরে ধাক্কা মারে এক বেপরোয়া গাড়ি। গাড়ির নিচে আটকে যায় তরুণীর পা। সেই অবস্থাতেই সুলতানপুরি থেকে কাঞ্ঝাওয়ালা পর্যন্ত ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতেই পৌঁছে যান তরুণী। জানা গিয়েছে, গাড়ির চালকের মনে হয়েছিল, নিচে কিছু একটা আটকে আছে। তবে তার সঙ্গী সে ধারণা ভুল বলে জানায়। ইতিমধ্যেই সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে সেই ভয়ংকর দৃশ্য। সুবিচারের দাবিতে সুলতানপুরি থানার বাইরে বিক্ষোভে শামিল স্থানীয়রা। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন