সামনেই জাতীয় নির্বাচন। এ জন্য নিজের দলকে লন্ডন থেকে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। দলীয় নেতাকর্মীদের তিনি এখনই রাজনৈতিক গণ প্রচারণায় নেমে পড়তে বলেছেন। পাকিস্তানের পত্রিকা দ্য নিউজ মঙ্গলবার এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে পিএমএলএনের লাহোর রাজনৈতিক টিমকে রাজনৈতিক নির্দেশনা দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সামনেই জাতীয় নির্বাচন। এ জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। পাশাপাশি পাকিস্তানের আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) এবং তাদের মিত্রদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। এ রিপোর্টে দলীয় সূত্রের উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। সূত্রগুলো বলেছেন, দলীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে এরই মধ্যে অনলাইনে ধারাবাহিক মিটিং করেছেন নওয়াজ শরীফ। পাঞ্জাবে আস্থাভোটের আগেই তিনি তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে নির্দেশনা দিয়েছেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, পাবলিক মিটিং করতে ব্যবহার করা হবে গভর্নরস হাউজ এবং সিনেট গেস্ট হাউজ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদেরকে জনগণের সমস্যার কথা শুনতে প্রকাশ্য শুনানিতে বসতে হবে এবং সেখানেই সমস্যার সমাধান দিতে তাগিদ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদ বিলুপ্ত করা থেকে পিটিআইকে বিরত রাখতে সমাধান খুঁজে পেতে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে তার শরীকদের সঙ্গে আলোচনা করতে পরামর্শ দিয়েছেন নওয়াজ। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ওদিকে মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ এলাহির বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের জন্য পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ৯ই জানুয়ারির পরিবর্তে তা হবে এখন ১১ই জানুয়ারি। পরিষদের সচিবালয় থেকে এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্র বলেছেন, এই পরিষদের আসন্ন অধিবেশন পিএমএলএন, তার মিত্র এবং পিটিআই, তার মিত্র- উভয় পক্ষের জন্য হবে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তারা আরও বলেছেন, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ ইলাহি আস্থা ভোটে টিকে যেতে পারেন। যদি বিরোধী দলীয় জোট ১৮৬ ভোট অর্জন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ইমরান খানের ঘোষণা অনুযায়ী পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই উভয় পক্ষই তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে। বর্তমানে পিএমএলএনের আছে ১৬৭ আসন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) আছে ৭ আসন। রাহে হক পার্টির আছে এক আসন। অন্যদিকে পিটিআইয়ের দখলে আছে ১৮০টি আসন। পাকিস্তান মুসলিম লিগ কায়দে’র আছে ১০ আসন। দ্য নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন