গত ডিসেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার রেকর্ড ১৩ দশমিক ৩ শতাংশে উঠেছে। আগের মাস নভেম্বরে যা ছিল ১২ দশমিক ৪ শতাংশ। ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়ামের (বিআরসি) ভাষ্য, ২০০৫ সাল থেকে রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু হওয়ার পর এটাই সর্বোচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতি। প্রাণী খাদ্য, সার ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার এতটা বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিআরসি। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বিআরসি বলছে, ২০২৩ সালেও খাদ্যে উচ্চ মূল্যস্ফীতির ধারা বজায় থাকতে পারে। গত বছরের বড়দিন যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলোর জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিআরসির প্রধান অর্থনীতিবিদ হেলেন ডিকিনসন। কিন্তু মূল্যস্ফীতির ধারা এখনই গতি হারাবেÑ এমন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালও খারাপ যাবে বলে মনে করেন ডিকিনসন। খাদ্য মূল্যস্ফীতির কারণে যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশের মানুষ পাতের খাবার কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, সে দেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের মতো এনজিওকে তৎপর হতে হয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের কর্মীরা জানাচ্ছেন, যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলো ফল ও শাকসবজি কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। এমনকি শিশুদের জন্য গরম কাপড় কিনতেও কষ্ট হচ্ছে তাদের। এক সাহায্যগ্রহীতা পরিবারের কথা বলেছেন তারা, যে পরিবার সম্প্রতি সোশ্যাল হাউজিং বা সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্থান পেয়েছে, কিন্তু তারা বাড়ির নিচতলায় কার্পেট বিছাতে পারেনি। শীতের দেশে ঘরের মেঝেতে কার্পেট না থাকা কতটা কষ্টকর, তা অনুমান করা কঠিন কিছু নয়। দ্য গার্ডিয়ান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন