উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র শীত পড়ায় জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। অধিৃকত কাশ্মীরে তাপমাত্রা নেমে গেছে মাইনাস ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বিখ্যাত ডাল লেকের পানি অংশত জমে বরফ হয়ে গেছে। এর ফলে যাত্রী ও পর্যটক বহনকারী নৌকাগুলো চালানো মাঝিদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কাশ্মীরের কোনো কোনো এলাকায় পানির পাইপলাইনগুলো জমে গেছে। রাস্তায় গাড়ি চলাচলও বিঘ্নিত হচ্ছে। পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক না থাকায় স্থানীয় লোকজনের খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পেতে অসুবিধা হচ্ছে। ভারতের রাজধানী দিল্লিতেও তীব্র শীত-প্রবাহ চলছে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছে লোকজনের জীবন। দিল্লির কোনো কোনো এলাকায় তাপমাত্রা ২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গেছে। এর ফলে দিল্লিতে যারা ফুটপাতে ঘুমান সেইসব গৃহহীন মানুষের জীবন খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।
তাপমাত্রা কমে যাওয়া এবং ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। ভারতীয় রেলওয়েকে দেশটির পরিবহন ব্যবস্থার মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ভারতে প্রতিদিন প্রায় দুই কোটি ৩০ লাখ মানুষ রেলগাড়িতে চলাচল করে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডার কারণে ট্রেন দেরিতে ছাড়ছে। গন্তব্যে পৌঁছাতেও বিলম্ব ঘটছে। কখনও কখনও ছয় থেকে দশ ঘণ্টাও দেরি হচ্ছে। এর ফলে উত্তর ভারতে যাত্রীদের চলাচলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে। শীতের মাসগুলোতে এই শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা চরম রূপ ধারণ করে। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাজস্থানেও তাপমাত্রা অনেক নিচে নেমে গেছে। সেখানকার কৃষকরা বলছেন এর ফলে তাদের মাঠে কাজ করা যেমন কঠিন হয়ে পড়েছে তেমনি ফসলের উৎপাদনও বিঘ্নিত হচ্ছে। পবিত্র শহর হিসেবে বিবেচিত অমৃতসরেও তীব্র শীত পড়েছে।
গত কয়েকদিনে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে গেছে সবকিছু। এর ফলে ট্রেন ও বাসের মতো পরিবহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। উপরের ছবিতে দেখা যচ্ছে কুয়াশায় আবৃত গোল্ডেন গেট। সূত্র: বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন