রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

তিন সপ্তাহ পরও সংজ্ঞাহীন থাই রাজকুমারী বজ্রকিতিয়াভা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:০৩ এএম

তিন সপ্তাহের বেশি সময় আগে কুকুরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়া থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের বড় মেয়ে রাজকুমারী বজ্রকিতিয়াভার সংজ্ঞা এখনও ফেরেনি। শনিবার রাজপ্রাসাদের এক বিবৃতিতে রাজ সিংহাসনের সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী ৪৪ বছর বয়সী রাজকুমারীর শারীরিক অবস্থার হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

রোববার গভীর রাতে প্রাসাদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাজকুমারী বজ্রকিতিয়াভা মাইকোপ্লাজমা সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট প্রদাহের ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
রাজপ্রাসাদ বলেছে, রাজকুমারীর সার্বিক অবস্থা হল, তিনি এখনও অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা তার হৃদযন্ত্র, ফুসফুস এবং কিডনির কার্যকারিতাকে সহায়তা করার জন্য ওষুধ এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করছেন। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করে তার অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।
গত ১৫ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্ব নাখোন রাতচাসিমা প্রদেশে একটি প্রতিযোগিতার জন্য নিজের কুকুরকে প্রস্তুত করার সময় রাজকুমারী বজ্রকিতিয়াভা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে ঘটনাস্থলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।
বজ্রকিতিয়াভার জন্ম ১৯৭৮ সালের ৭ ডিসেম্বর। তিনি রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের প্রথম স্ত্রী রাজকুমারী সোমসাওয়ালীর মেয়ে। ২০১৬ সালে রাজা ভূমিবলের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর থেকে তার বাবা ভাজিরালংকর্নের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের অংশ হিসেবে রয়েছেন রাজকুমারী বজ্রকিতিয়াভা। রাজার ব্যক্তিগত নিরাপত্তায় নিয়োজিতদের মাঝে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা করা হয় তাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি করেছেন রাজকুমারী বজ্রকিতিয়াভা। রাজা ভাজিরালংকর্ন এখনও তার সিংহাসনের উত্তরাধিকারীর নাম ঘোষণা করেননি। তবে দেশটিতে রাজকুমারী বজ্রকিতিয়াভাকে সবচেয়ে যোগ্য উত্তরসূরি হিসাবে দেখা হয়।
রাজার তিন সন্তানের একজন বজ্রকিতিয়াভা। রাজপরিবারের এই সন্তানদের মধ্যে একমাত্র তারই আনুষ্ঠানিক উপাধি রয়েছে। দেশটির ১৯২৪ সালের উত্তরাধিকার আইনের আওতায় সিংহাসনে আরোহণের জন্য যোগ্য কেবল তিনিই।
ফিটনেস ধরে রাখার ব্যাপারে বেশ উৎসাহী থাই এই প্রিন্সেস নারী অধিকারের ক্ষেত্রেও অনেক সোচ্চার। বিশেষ করে নারী বন্দীদের জন্য বিভিন্ন সময়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের পক্ষে কথা বলেছেন তিনি। বিশ্বের অন্যান্য যেকোনও দেশের তুলনায় সর্বোচ্চসংখ্যক নারী কারাবন্দী রয়েছে থাইল্যান্ডে।
২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অস্ট্রিয়ায় থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি স্লোভেনিয়া, স্লোভাকিয়ায় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি থাইল্যান্ডের অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস সামলেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন