বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কাশ্মিরে বউ হিসেবে বিক্রি হচ্ছেন পাচারের শিকার নারী ও মেয়েরা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:৪২ পিএম

ভারত অধিকৃত জম্মু কাশ্মিরের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বহু বছর ধরেই। প্রশ্নের মুখে উপত্যকাটির নারী অধিকারও। পাকিস্তান-তুরস্কসহ মুসলিম বিশ্বের বহু দেশকে প্রায়ই কাশ্মিরিদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা যায়।
আর এবার সামনে এসেছে নতুন তথ্য। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত অধিকৃত কাশ্মিরে বউ হিসেবে বিক্রি হচ্ছেন পাচারের শিকার নারী ও মেয়েরা। ভুক্তভোগী এমন অনেক নারী ও মেয়ে বর্তমানে দুরাবস্থার মধ্যেও রয়েছেন। গতকাল রোববার (১৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের বাসিন্দা নাজিমা বেগম। ২৯ বছর বয়সী এই নারী তার পাঁচ মাস বয়সী শিশু তৌফিক, সাত বছর বয়সী এবং ১০ বছর বয়সী আরও দুই সন্তানসহ শ্রীনগরের একটি এক কক্ষের বাড়িতে থাকেন। তার স্বামী চার মাস আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
অবশ্য তার বিয়েটা প্রেমের বা পারিবারিক কোনও বিয়ে ছিল না। নাজিমাকে তার নিজ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে অপহরণ করা হয়েছিল এবং পরে তাকে ১৬০০ কিলোমিটার (১০০০ মাইল) দূরে কাশ্মিরে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানেই তাকে তার ২০ বছরের বড় একজন লোককে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
ওই ব্যক্তি পাচারকারীদের একটি পাত্রী বা বউয়ের জন্য ২৫০ মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর সাথে সাথে নাজিমা তার সন্তানদের নিয়ে একা হয়ে পড়েছেন এবং ভরণপোষণের শঙ্কায় সন্তানদের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, একজন কৃষি শ্রমিকের মেয়ে নাজিমা দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হয়েছেন। তার বাবার আরও তিনটি সন্তান ছিল। আর তাই ২০১২ সালে নাজিমার গ্রামের এক বন্ধু তাকে জানায়, পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় একটি এনজিও দরিদ্র নারীদের চাকরি দিচ্ছে বলে সে শুনেছে। আর এরপরই ট্রেনে করে কলকাতা যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
একটা ঝলমলে বিকেলে কলকাতায় পৌঁছে তার গন্তব্য ছিল বড় একটি কাঁচের বিল্ডিং। সেখানে পৌঁছানোর পর তিনি কয়েকজন পুরুষ এবং অনেক নারীকে দেখেছিলেন। যাদের কেউ তার বয়সী, অন্যরা বয়স্ক। পরে একজন পুরুষ তাকে চা পরিবেশন করলেন।
এত বছর পরে, তার এখনও মনে আছে- চায়ে কেমন একটা এলাচের গন্ধ ছিল। এটি পান করার পরই তিনি আর কথা বলতে পারেননি। একপর্যায়ে তাকে দুইজন লোক তাকে বাইরে অপেক্ষারত একটি গাড়িতে নিয়ে যায়।
মূলত সেখানে কোনও এনজিও ছিল না, দরিদ্র নারী ও মেয়েদের জন্য সেখানে কোনও চাকরি ছিল না, এমনকি পঙ্গুত্বপূর্ণ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসার কোনও পথও ছিল না। সেখানে নাজিমার জীবনকে পাচারকারীরা শুধুমাত্র শোষণ করার জন্য অপেক্ষা করছিল।
পরে নাজিমাকে একটি রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চারজন পুরুষ অন্য চার নারীও অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেনে ভ্রমণের সময়ে তাকে বাথরুম ব্যবহার করতে বা খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। নাজিমা বলেন, ‘পুরুষদের ভীতিকর লাগছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি ঘটছে।’
ট্রেনে ২০ ঘণ্টা ভ্রমণের পরে তারা দিল্লি পৌঁছান। কিন্তু তাদের যাত্রা শেষ হয়নি। ভারত-শাসিত কাশ্মিরের দক্ষিণে অবস্থিত জম্মু শহরে পৌঁছানোর জন্য আরও ১৩ ঘণ্টা ভ্রমণের জন্য নারীদের অন্য একটি ট্রেনে উঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে জম্মুতে পাচারকারীরা তাদেরকে দুই কাশ্মিরির হাতে তুলে দেয়।
তিনি বলছেন, ‘আমরা সবাই আতঙ্কিত ছিলাম। আমরা কিছু করতে পারিনি কারণ আমরা ভয় পেয়েছিলাম যে আমাদের ক্ষতি হতে পারে।’
পরে একটি ক্যাবে করে তাদের জম্মুতে নেওয়া হয়। নাজিমা বলছেন, ‘জম্মুতে, আমি একটি সম্পূর্ণ অদ্ভুত জায়গা আবিষ্কার করলাম। ভাষা সম্পূর্ণ আলাদা ছিল। এটিকে যেন ভিন্ন বিশ্বের মতো লাগছিল।’
জম্মু থেকে ২৭৪ কিলোমিটার (১৭০ মাইল) দূরে উত্তর কাশ্মিরের বারামুল্লা জেলার আপেল বাগান এবং ধানের ক্ষেতে ঘেরা একটি মনোরম গ্রামে যখন তারা পৌছান তখন সকাল ৬টা। তাদের একজন পাচারকারীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তারা এতদিন ধরে পরে থাকা পোশাক পরিবর্তন করেন।
নাজিমা বলছেন, নতুন যে পোশাকগুলো তাদের পরতে বলা হয়েছিল তা ‘খুব সুন্দর ছিল না’। অবশ্য সেই সময়ই সঙ্গে থাকা নারীরা প্রথমবারের মতো একে অপরের সাথে কথা বলতে সক্ষম হয়। কিন্তু সেটি খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। শিগগিরই তাদের একে একে নিয়ে যাওয়া হবে এবং যাদের সঙ্গে বিয়ে হবে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
নাজিমার পালা এলে সে কেঁদেছিল। কিন্তু কেউ তার কান্নাকে পাত্তা দেয়নি। তার ভাষায়, ‘একজন বৃদ্ধ আমার মাথায় হাত রেখেছিলেন এবং আমার স্বামীর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল। তারা কী বলছে আমি বুঝতে পারছিলাম না। আমার মধ্যে একটা অপ্রতিরোধ্য ভয় ছিল।’ তারপর ওই বৃদ্ধ জানালেন, তার বিয়ে হয়ে গেছে।
নাজিমার স্বামী আগে বিবাহিত ছিলেন এবং দুর্ঘটনায় তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। দুর্ঘটনায় নিজের প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে নাজিমার স্বামী এক কক্ষের বাড়িতে থাকতেন এবং নাজিমাকে বিয়ের পর তাকে সেখানেই নিয়ে যান।
প্রথমদিকে নাজিমা প্রায়ই কাঁদতেন। এমনকি অনেকবার পালানোর চেষ্টা করলেও তিনি কেবল ক্যাব স্টেশন পর্যন্তই পৌঁছাতে পারতেন। তবে নাজিমা বলছেন, তার স্বামী তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছেন।
অপরদিকে সাত মাস ধরে নিজের পরিবারের সাথে কোনও যোগাযোগ না থাকায় এবং আশপাশের গ্রামগুলোতে অনুসন্ধান শেষে সবাই ধরে নিয়েছিলেন, নাজিমাকে হয়তো হত্যা করা হয়েছে। তাই যখন তার স্বামী তাকে পশ্চিমবঙ্গে তাদের সাথে দেখা করতে নিয়ে গেলেন, তখন তারা খুব আনন্দিত হয়েছিল।
নাজিমা মরিয়া হয়ে নিজের পরিবারের সাথে থাকতে চেয়েছিলেন কিন্তু ইতোমধ্যেই গর্ভবতী হওয়ায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার স্বামীর সাথে কাশ্মিরে ফিরে আসেন। তবে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে তিনি পশ্চিমবঙ্গে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবলেও এই বিষয়টি নিয়ে বেশ দ্বিধাগ্রস্ত। তিনি বলছেন: ‘আমার তিনটি সন্তান আছে। কী করব, কোথায় যাব বুঝতে পারছি না।’
তিন মাস আগে নিজের বাবার মৃত্যুতে নাজিমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ইতোমধ্যেই বেশ খারাপ। আর তাই তিনি উদ্বিগ্ন যে, তিনি ফিরে গেলে তার পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা আরও বাড়বে। অশ্রুসিক্তভাবে নাজিমা বলেন, ‘পাচারকারীরা আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমি ফিরে যাওয়ার কথা ভাবতে পারি না।’

‘বিয়ের কথা বলে ছদ্মবেশে পাচার’
ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) ২০২০ সালে মানব পাচার নিয়ে ১ হাজার ৭০০ টিরও বেশি ঘটনা রেকর্ড করেছে। এর মধ্যে বিয়ে, দাসত্ব এবং পতিতাবৃত্তির জন্য পাচার করা প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুও রয়েছে। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি হিমশৈলের অগ্রভাগ মাত্র।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির (এএমইউ) সমাজবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক তারুশিকা সর্বেশ বলছেন, ভারতে পাচারের বিষয়টি খুবই কমই রিপোর্ট করা হয়। এর একাধিক কারণও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কখনও কখনও যেসব নারী ও শিশুদের উদ্ধার করা হয় এবং ফিরিয়ে আনা হয় তাদের পরিবার স্বীকার করতে চায় না যে তাদের পাচার করা হয়েছিল, কারণ বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন, পাচার মানে বেশিরভাগ সময়ই যৌন শোষণ হয়ে থাকে।’
ভারতে মানব পাচার নির্মূলে কাজ করে এমন একটি বেসরকারি সংস্থা প্রজওয়ালা। হায়দরাবাদ-ভিত্তিক এই সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সুনিতা কৃষ্ণান বলছেন, অনেক লোক নারী বা পাত্রী পাচারকে শনাক্ত করতে পারে না কারণ এটি ‘বিবাহের ছদ্মবেশে’ হয়ে থাকে।

তিনি বলছেন, ‘যখন বিয়ে হয় তখন আগের সকল কাজ ভুলে যাওয়া হয় এবং বিয়েকে একটি ধার্মিক জিনিস হিসাবে দেখা হয়, অপরাধ হিসাবে নয়। লোকেরা মনে করে ‘কীভাবে বিয়ে পাচারের সমতুল্য হতে পারে?’
নাজিমার নিজ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ভারতে মানব পাচারের অন্যতম কেন্দ্র হিসাবে বিবেচিত। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, গত তিন বছরে সেখানে ৩৫০টিরও বেশি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাচারের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হতে পারে, কারণ পাচারের ঘটনা প্রমাণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে।
সর্বেশ বলছেন, ‘ভারতের অন্যান্য অংশ থেকে (উত্তর ভারতে) নারীদের আনা সহজ কারণ লোকেরা তাদের অতীত পটভূমি জানবে না। উত্তর ভারতে লোকেরা নববধূর বংশ পরিচয় বা কীভাবে সে এখানে এলো তা জানতে আগ্রহী নয়। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতের কিছু অংশে এটি বেশ কঠিন। মূলত সেখানে কাজিনদের মধ্যে বিয়ে খুবই সাধারণ বিষয়।’
এছাড়া কাশ্মিরের মতো সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল সম্পর্কে সর্বেশ বলছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে যেভাবে কাজ করা উচিত তেমনভাবে কাজ করে না এবং ‘রাজনীতির খেলার’ মধ্যে অনেক ব্যক্তিগত গল্প হারিয়ে যাওয়ায় কনে পাচারের সমস্যা আরও জটিল হয়ে ওঠে।

৩৫ ডলারের বিনিময়ে বউ
কাশ্মির-ভিত্তিক একজন আইনজীবী এবং মানবাধিকার কর্মী হলেন আব্দুল রশিদ হানজুরা। গত ২০ বছর ধরে তিনি মানব পাচার মোকাবিলার বিষয়ে কাজ করছেন। আল জাজিরাকে তিনি বলছেন, এই অঞ্চলে ‘বউ পাচারের সাথে জড়িত দালালদের পূর্ণাঙ্গ ব্যবসা’ রয়েছে। মধ্যস্বত্বভোগী দালালরা পাত্রী খুঁজতে থাকা কাশ্মিরি পুরুষদের ভারতের অন্যান্য স্থান থেকে পাচার করা নারীদের সঙ্গে সংযুক্ত করে।
তিনি বলেন, ‘এটি দারিদ্র্যের কারণে ঘটে। অনেক দরিদ্র পুরুষ কাশ্মিরে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না কারণ আমাদের প্রথা বা আচার অনেক ব্যয়বহুল। মূলত কাশ্মিরে একটি বিয়েতে গড়ে এক হাজার মার্কিন ডলারের বেশি খরচ হয়।’
অন্যদিকে পাচার করা কনে বা বউ- যাদের মধ্যে অনেকেই কম বয়সী পেতে খরচ হতে পারে ৮০ মার্কিন ডলার। কখনও কখনও নিজের পরিবারের মাধ্যমেই এজেন্টদের কাছে বিক্রি করা হয় মেয়েদের। আব্দুল রশিদ হানজুরা বলেন, ‘আমি এমন একটি ঘটনা দেখেছি যেখানে এজেন্টরা (একটি পরিবারকে) ৩৫ মার্কিন ডলার দিয়েছে।’
হানজুরা বিশ্বাস করেন, কাশ্মিরে হাজার হাজার পাচার করা পাত্রী রয়েছে। তিনি বলছেন, সঠিক তথ্য ছাড়া প্রকৃত সংখ্যা জানা অসম্ভব।
আল জাজিরা একজন ‘এজেন্ট’ এর সাথে কথা বলেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি জানান, তিনি এই ধরনের কয়েক ডজন বিবাহের ব্যবস্থা করার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। মূলত পাত্রী কিনতে ইচ্ছুক ব্যক্তি এবং পাচারকারীদের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করতে তিনি।
ওই এজেন্ট আরও বলেন, পাত্রী কেনার জন্য গড়ে ২৫০ থেকে ৫০০ মার্কিন ডলার খরচ হয়। তবে পাচার হওয়া নারীদের জোর করে বিয়ে করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।
তার দাবি, ‘কিছু দরিদ্র পরিবার স্বেচ্ছায় তাদের মেয়েদের বিয়ের জন্য পাঠায়; তারা কিছু টাকাও নেয়। কিছু নারী স্বেচ্ছায় আসে এবং তারপরে এখানে থাকতে পছন্দ করে না এবং পালাতে চায়, তখন তারা অন্যদের দোষ দেয়। কিন্তু এখানে তাদের খাবার এবং সবকিছু আছে, তাদের নিজ রাজ্যে দারিদ্র্য বেশি।’

তবে এই বক্তব্যে বিরোধিতা করেন হানজুরা। তিনি বলেন, নারী ও মেয়েদের প্রায়ই অনেক বেশি বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়।
কাশ্মিরি পুলিশের অ্যান্টি-হিউম্যান ট্রাফিকিং ইউনিটের (এএইচটিইউ) দায়িত্বে রয়েছেন নিসার আহমেদ। তিনি বলছেন, তার বিভাগ গত কয়েক বছর ধরে জোরপূর্বক বিয়েতে বাধ্য করা অনেক নারী ও মেয়েকে উদ্ধার করেছে। তার ভাষায়, ‘কিন্তু আমরা তখনই ব্যবস্থা নিতে পারি যখন আমরা আনুষ্ঠানিক কোনও অভিযোগ পাই।’
চলতি বছরের জানুয়ারিতে উপত্যকাটির স্থানীয় সরকার কাশ্মিরে পাচারবিরোধী ইউনিটকে শক্তিশালী করা শুরু করেছে। তবে এক ডজনেরও বেশি ভুক্তভোগী নারী আল জাজিরা বলেছেন, তাদের বা অন্যদের জন্য পরিস্থিতির উন্নতি হবে এমন আশা তাদের খুব কম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন