যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় কলকারখানা/কর্পোরশেনের অনিয়ম-দুর্নীতি হ্রাসে অভিনব একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র বিচার বিভাগ। যুক্তরাষ্ট্রের সহকারি অ্যাটর্নী জেনারেল কেনেথ পোলাইট বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি ল’ সেন্টারে প্রদত্ত বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, কর্পোরেশনের অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে বিদ্যমান আইন প্রয়োগের আগেই যদি সংশ্লিষ্ট কর্পোরেশনসমূহ নিজ নিজ অপকর্মের তথ্য স্বেচ্ছায় বিচার বিভাগকে অবহিত করে তাহলে জরিমানাসহ যাবতীয় শাস্তির পরিমাণ ৭৫ শতাংশ কমানো হবে। এ শ্রেুীর কর্পোরেশনকে তদন্তে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের অঙ্গিকারও করা হবে। সহকারি অ্যাটর্নী জেনারেল কেনেথ আরো উল্লেখ করেছেন, এমনকি যেসব কর্পোরেশনে স্বেচ্ছায় অনিয়ম/দুর্নীতির কথা প্রকাশ না করলেও তারা যদি তদন্তে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে তবুও শাস্তি/জরিমানার পরিমাণ ৫০ শতাংশ কমানো হবে। অ্যাটর্নী কেনেথ বলেছেন, আমরা কাউকে শাস্তি প্রদানের পক্ষে নই। আমরা চাই সবকিছু নিয়ম-নীতির মধ্যে রাখতে। শাস্তি কমানোর এই প্রকল্পে গুরুতর অপরাধকে নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ কর্পোরেট আইন লংঘনের মধ্যদিয়ে বিপুল অর্থের ট্যাক্স ফাঁকি ছাড়াও পণ্য-সামগ্রী উৎপাদন থেকে ক্রয় বিক্রয়ে দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এছাড়া, কিছু কোম্পানী তার পুরো জরিমানা থেকে রেহাই পাবে যদি তারা তদন্ত চলার মধ্যেও সবকিছু খুলে বলে এবং কেন তারা অনিয়ম/দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে-তা অবহিত করে। এমন অবস্থা থেকে বিশাল এই সেক্টরকে শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনা জরুরী হয়ে পড়েছে বলেই এমন সুযোগ দেয়া হলো-উল্লেখ করেন বিচার বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তারা। স্বেচ্ছায় অপকর্ম/দুর্নীতি/অনিয়মের কথা স্বীকার করলে তা সংশোধনের পথ সহজ হবে এবং তদন্ত খাতেও ব্যয় কমবে-এই অভিজ্ঞতা থেকে বাইডেন প্রশাসনের সর্বশেষ এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন অনেকে। অ্যাটর্নী কেনেথ আরো বলেছেন, ‘জেনে-শুনে যেসব কোম্পানী তাদের দুর্নীতি/অনিয়মের তথ্য গোপন করবে অর্থাৎ জরিমানা/শাস্তির এই সুযোগ নিতে চাইবে না, তাদের বিদ্যমান শাস্তি/জরিমানা দ্বিগুণ হবে।’ সিএনবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন