শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সৈন্যরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত কি না, জানতে চাইলেন শি জিনপিং

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পূর্ব লাদাখ সীমান্তের সৈন্যদে সঙ্গে কথা বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০:১২ পিএম

বিতর্কিত লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন করা চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত বুধবার রাজধানী বেইজিংয়ে পিএলএর সদর দফতর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পূর্ব লাদাখ সীমান্তের সৈন্যদের সঙ্গে কথা বলেন পিএলএর এই প্রধান। -টাইমস অব ইন্ডিয়া

চীনের সংবাদমাধ্যম বলছে, ওই দিন পিএলএ সদর দফতর থেকে জিনজিয়াং মিলিটারি কম্যান্ডের আওতাধীন খুনজেরাব সীমান্ত রক্ষা কেন্দ্রের সেনা সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন জিনপিং। চীনের প্রেসিডেন্টকে ওই এলাকার সৈন্যদের সঙ্গে আলাপচারিতাকে অনেকেই নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন।

এদিকে, লাদাখে সৈন্যদের সঙ্গে চীনা প্রেসিডেন্টের কথা বলার পরপরই ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় চীন সীমান্ত লাগোয়া আকাশসীমায় বৃহৎ পরিসরে মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী। দেশটির অরুণাচল প্রদেশ, আসামসহ ওই অঞ্চলের কয়েকটি রাজ্যজুড়ে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে বলে শনিবার টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওই অঞ্চলে সরাসরি ভারতের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে চীনের। সীমান্তের অবস্থান নিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর অতীতে অসংখ্যবার সংঘাত-সংঘর্ষও হয়েছে দুই দেশের সৈন্যদের মাঝে।

সৈন্যদের সঙ্গে আলাপকালে শি জিনপিং বলেছেন, গত কয়েক বছরে লাদাখের ওই এলাকায় বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন এসেছে। আর এই পরিবর্তনের প্রভাব চীনা সৈন্যদের ওপরও পড়েছে। খুনজেরাবের এক সৈন্য চীনা প্রেসিডেন্টকে বলেন, সৈন্যরা বর্তমানে ওই সীমান্ত এলাকায় টানা ২৪ ঘণ্টা নজরদারি শুরু করেছেন। এ সময় শি জিনপিং চীনা সৈন্যদের কাছে জানতে চান, ‘আপনারা যুদ্ধের জন্য কি প্রস্তুত রয়েছেন? জবাবে চীনা সেনারা হ্যাঁ, আমরা প্রস্তুত বলে জানান।

এর আগে, ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা-নিয়ন্ত্রিত তিব্বত মালভূমিতে ভারতীয় ও চীনা সৈন্যদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় উভয় দেশের সৈন্যরা হাতাহাতি, কিল-ঘুষিতে জড়িয়ে পড়েন। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সীমান্তে চীনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের সামরিক বাহিনীর অন্তত ২০ সৈন্য নিহত হন বলে সেই সময় স্বীকার করে। যদিও চীন ওই সংঘাতের ঘটনায় তাদের কোনও সৈন্য হতাহত হয়েছে কিনা তা প্রকাশ করেনি।

তবে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে চীনের ৪০ জনের বেশি সৈন্য নিহত হয়েছিলেন বলে জানানো হয়। এই সংঘর্ষের পর উভয়পক্ষ মরুভূমি অঞ্চলে তাদের সৈন্য, অস্ত্র এবং সামরিক অন্যান্য রসদ বৃদ্ধি করেছিল। পরে সামরিক কমান্ডার পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠকের পর ভারতীয় ও চীনা সৈন্যদের হিমালয়-সংলগ্ন লাদাখের বিতর্কিত প্যাংগং লেক এলাকা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

ভারতের সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, সীমান্ত সম্পর্কে ‘ভিন্ন ধারণার’ কারণে ২০০৬ সাল থেকে চীনের সাথে এ ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কিছু এলাকাকে উভয় পক্ষই তাদের নিজেদের বলে দাবি করে। এসব এলাকায় উভয় পক্ষের সৈন্যরাই টহল দেন। ২০০৬ সাল থেকে চীন এবং ভারতীয় সৈন্যদের মাঝে এই প্রবণতা দেখা যায়।

ভারত এবং চীনের মাঝে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। যেখানে উভয় দেশের সৈন্যরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) নামে পরিচিত ডি ফ্যাক্টো সীমান্তে যেকোনও ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার এড়াতে দীর্ঘদিনের প্রোটোকল মেনে চলেন। কিন্তু বিতর্কিত এই সীমান্ত এলাকায় চীন-ভারতের সৈন্যরা প্রায়ই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
Harunur Rashid ২২ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:৪৫ এএম says : 0
This time cut the ....g head of the snake.
Total Reply(0)
Azad ২২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৩:৪৪ এএম says : 0
এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চীন ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ অত্যন্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে ভারত যেভাবে তার ছোট প্রতিবেশীদের অপব্যবহার করে, চীনের উচিত ভারতীয় জনগণকে শেখানো যে এলাকায় আরও বড় ভাই রয়েছে।
Total Reply(0)
Azad ২২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৩:৪৪ এএম says : 0
এই অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চীন ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ অত্যন্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে ভারত যেভাবে তার ছোট প্রতিবেশীদের অপব্যবহার করে, চীনের উচিত ভারতীয় জনগণকে শেখানো যে এলাকায় আরও বড় ভাই রয়েছে।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন