বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ হলে বিয়ের ধারণাটাই নষ্ট হয়ে যাবে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:১৯ পিএম

বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে পুরনো বিতর্কে নতুন মাত্রার সংযোজন। এবার আসরে নামল একটি পুরুষ অধিকার সংগঠন। তাদের দাবি, বৈবাহিক ধর্ষণকে যদি ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করা হয়, এবং সেটা অপরাধ হিসাবে বিবেচিত হয়, তাহলে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটির উপর বিশ্বাস হারাবেন মানুষ।

বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে ধর্ষণের প্রসঙ্গ টানা যায় কিনা তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে দেশে। অনেকের মতে বিষয়টি পশ্চিমী সংস্কৃতি থেকে আমদানি করা হয়েছে। এ নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক চলছে। বহু মামলাও হয়েছে। কিন্তু এখনও ভারতে বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে সুস্পষ্ট কোনও আইন নেই। এই মুহূর্তে এই সংক্রান্ত মামলা চলছে ভারতের সুপ্রিম কোর্টেও। তবে কিছুদিন আগে একটি গর্ভপাত সংক্রান্ত মামলায় শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, বিবাহিত মহিলারাও ‘ধর্ষণে’র শিকার হতে পারেন। স্বামীর আচরণে অবাঞ্ছিত ভাবে গর্ভবতী হতে পারেন মহিলারা।

তারপরই আসরে নামল পুরুষ আয়োগ ট্রাস্ট নামের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন দাখিল করেছে তারা। তাঁদের বক্তব্য, ভারতীয় আইন অনুযায়ী স্ত্রী প্রাপ্তবয়স্ক হলে জোর করে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে স্বামীকে শাস্তি দেয়া যায় না। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির দাবি, বৈবাহিক ধর্ষণ স্বীকৃত হলে অনেক বিয়ে উপযুক্ত বিচার ছাড়াই ভেঙে যেতে পারে। কারণ জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ প্রমাণের ক্ষেত্রে স্ত্রীর জবানবন্দি ছাড়া আর কোনও বিকল্প থাকে না। পুরুষের কাছে নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করার কোনও উপায় থাকে না। স্বাভাবিকভাবেই বিয়ে নামক সংস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাস উঠে যেতে পারে।

পুরুষ অধিকার সংগঠনটির যুক্তি, প্রতি বছর মহিলাদের ভুয়া নারী নির্যাতন এবং গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে বহু পুরুষ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন। এবার যদি বৈবাহিক ধর্ষণ বৈধতা পায়, তাহলে তার অপব্যবহার হবে এবং বহু নিরপরাধ পুরুষ শাস্তি পেয়ে যাবে। সূত্র: টাইমস নাউ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
মো. মাহবুব ২২ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:৫৩ পিএম says : 0
বৈবাহিক ধর্ষণ যদি বাস্তবায়ন করা হয়, তাতে পুরুষদের উপর নির্যাতন বেড়ে যাবে। অর্থলোভী, সম্পদ লোভী স্ত্রী স্বামীর উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে স্বামীকে বিপদে ফেলে অর্থ-সম্পদ কুক্ষিগত করার চেষ্টা করবে। সুতরাং বৈবাহিক ধর্ষণ আইন বাস্তবায়ন হলে এটি হবে আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত। এই আইন কখনও, কোন সময় যাতে বাস্তবায়ন না হয়, সেদিকে সকল প্রশাসন ও ধর্মীয় নেতাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
Total Reply(0)
Palash Majumder ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩, ২:৪৬ পিএম says : 0
পুরুষ বিরোধী সকল আইন সংশোধন করতে হবে। একতরফা পুরুষ বিরোধী আইনের ফলে যত পুরুষ আত্মহত্যা করছে তার দায় সরকারকে নিতে জবে। পশ্চিমা বিশ্বের এত নারীবাদি দান মুলতো পরিবার প্রথাকে বিলুপ্ত করার নীল নকশা ছাড়া কিছুই না।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন