শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আসছে পরিবেশবান্ধব ভাসমান শহর

আবহাওয়া ও সমুদ্রপৃষ্ঠের সাথে তাল মেলাবে স্থাপত্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়ার সাথে সাথে আবহাওয়ার উপযোগী এবং ঢেউয়ের সাথে তাল মিলিয়ে পানির ওপর বসবাসের জন্য একটি আন্তর্জাতিক স্থপতি দল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায়তায় একটি টেকসই এবং পরিবেশ-বান্ধব ভাসমান শহরের নকশা প্রস্তাব করেছে। ইতালির স্থাপত্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘লুকা কার্সি আর্কিটেক্টস’ এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্থপতি টিম ফু নেতৃত্বে নকশাকৃত ‘ফ্লোটিং সিটি’ নামক এ পরিকল্পনা ৫০ হাজার লোকের আবাসন করতে সক্ষম হবে। প্রাথমিকভাবে প্রস্তাবিত পানিতে ভাসমান ফ্লোটিং সিটি মোট ২৫ একরের আন্তঃসংযুক্ত পাটাতনের ওপর নির্মিত হবে এবং প্রতিটিতে উঁচু এবং নিচু তলের আবাসন ব্যবস্থা থাকবে। এগুলোতে ফোটোভোলটাইক গøাসের ঝিল্লি দ্বারা বেষ্টিত থাকবে, যা সমগ্র ভাসমান ব্যবস্থাটিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে এবং এটিকে নিজস্ব জ¦ালানিনির্ভর করে তুলবে।

সংশ্লিষ্ট স্থপতিদের প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে, ভাসমান শহরটিতে একটি শূন্য-বর্জ্য নীতি, শতভাগ প্রকৃতিবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থা, পানি বিশুদ্ধকরণ, জ¦ালানি সঞ্চয়ের ব্যবস্থা, বিভিন্ন নবায়ণযোগ্য জ্বালানির সংস্থান এবং কৃষিসহ একটি পৌরসভা থাকবে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘টেকসই শহরটি সম্প্রদায় এবং সমাজের ঐতিহ্যগত ধারণা পুনর্বিবেচনা এবং প্রাকৃতিক উপাদানের সাথে সংযোগ করে তার বাসিন্দাদের একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা ফিরতে সাহায্য করবে’। এটি হোটেল, পরিচর্যা কেন্দ্র, শপিং মল, ক্রীড়া কেন্দ্র এবং অবসর যাপনের জন্য একটি আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্যও হবে। শহরটিতে প্রবেশ করার জন্য অতিথি এবং বাসিন্দারা সমুদ্র বা আকাশপথে বিভিন্ন প্রতিটি ভাসমান প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযুক্ত বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ নৌপথ বা ড্রোনপোর্টের ব্যবহার করতে পারবেন। ভাসমান শহরে বসবাসের জায়গাগুলো সবই স্থলপথ, আকাশপথ এবং পানিপথে সংযুক্ত থাকবে এবং আধুনিক জীবনযাত্রার সমস্ত ব্যবস্থাই এতে থাকবে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতে, বিশে^র শহরগুলো সব গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী, যা বর্তমানের বিপর্যয়কর আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রধান চালক। এর মধ্যে ক্রমাগতভাবে উষ্ণ হতে থাকা আবহাওয়ার কারণে বরফ গলতে থাকায় জাতিসংঘের আবহাওয়া পরিবর্তন সংক্রান্ত বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন যে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২১০০ সালের মধ্যে ৬.৫ ফুট এবং ২১৫০ সালের মধ্যে ১৬ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে। এ বৃদ্ধি সারা বিশ্বের অনেক উপক‚লীয় শহরকে ডুবিয়ে দিতে পারে। এ কারণে ভাসমান শহরটি সাংহাই, নিউইয়র্ক এবং আমস্টারডামের মতো উপক‚লীয় শহরগুলোর পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এটি ২ লাখ লোককে জায়গা করে দেয়ার জন্য সম্প্রসারিত করা সম্ভব হবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার পরিবর্তনের সাথে সাথে ভাসমান শহরের উচ্চতাও বাড়বে। আগামী ২০ মে থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইতালির ভেনিসে বিয়েন্নালে আর্কিতেকতুরা পালাজ্জো আলব্রিজি-ক্যাপেলো ২০২৩ সম্মেলনে এবং অন্যান্য স্থানে প্রকল্পটি উন্মোচন করা হবে। সূত্র : নিউ ইয়র্ক পোস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
jack ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:২৪ পিএম says : 0
আমাদের দেশের সরকার কিছুই পারো না শুধু পারে আমাদের পরে জঘন্যতম অত্যাচার করতে এবং আমাদের কষ্টের অর্জিত ট্যাক্সের টাকা বিদেশে পাচার করতে
Total Reply(0)
Ismail Sagar ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ৮:৫৫ এএম says : 0
খুবই ভালো উধ্যোগ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন