মেয়ের বিয়ের আগেই ফটোগ্রাফার বদলাতে বাধ্য হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির এক বাবা। এই ঘটনায় ফটোগ্রাফারের কাছে ৭৬ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন অমিত প্যাটেল নামের ওই ব্যক্তি। পেশায় সার্জন অমিতের দাবি, ওই ফটোগ্রাফার একেবারে শেষ সময়ে এসে নতুন কিছু দাবি পেশ করেন, আর তাতেই বিপত্তি বাধে। এই ঘটনা শেষ পর্যন্ত মামলায় গড়িয়েছে। ডা. অমিত প্যাটেলে অভিযোগ, ফটোগ্রাফার ক্লেন গিসেলকে তিনি মেয়ে আনিশার বিয়ের ছবি তোলার জন্য ভাড়া করেন। তুরস্কে চার দিনব্যাপী জমকালো বিয়ের জন্য কনের ১৩টি পোশাকও বাছাই করা হয়। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ২৫০ অতিথি। ভোগ ম্যাগাজিনেও এ বিয়ের ছবি প্রকাশ হওয়ার কথা রয়েছে। নিউইয়র্ক পোস্টকে ডা. প্যাটেল বলেন, মেয়ের বিয়েতে আয়োজনের কোনো কমতি রাখেননি তিনি। কিন্তু ফটোগ্রাফারের গাফিলতির কারণে তাদের অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়েছে। তিনি জানান, ফটোগ্রাফার ক্লেন গিসেলকেও বেশ মোটা অঙ্কের টাকায় ভাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে তিনি আরও দাবি করায় তাকে বাদ দিতে বাধ্য হন তারা এবং নতুন ফটোগ্রাফার খুঁজতে হয়। ডা. প্যাটেল বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে ঝামেলা হওয়ায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম আমরা। বিয়ের ক’দিন আগে যদি আমি আমার মেয়েকে বলি যে আমাদের ফটোগ্রাফার আসছেন না, তাহলে কি অবস্থা হতে পারে তা বুঝতেই পারছেন!’ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গিসেল ও তার স্টুডিওর সাথে ডা. প্যাটেলের চুক্তি হয় যে গিসেলই তার মেয়ের বিয়ের সবগুলো ইভেন্টের ‘প্রধান ফটোগ্রাফার’ হিসেবে থাকবেন। সেই সাথে আরও ঠিক করা হয়েছিল যে ফটোগ্রাফারের টিম ডাবলট্রি বায় হিলটন হোটেলে থাকবে, পাঁচ তারকা মান্দারিন হোটেলে নয়। উল্লেখ্য যে, মান্দারিন হোটেলেই আনিশা প্যাটেলের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিউইয়র্ক পোস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন