পরপর বিস্ফোরণ পাকিস্তানে। কয়েকদিন আগেই নামাজের সময়ে মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটে মৃত্যু হয় ১০১ জনের। সপ্তাহ কাটার আগেই ফের বিস্ফোরণ পাকিস্তানে। কোয়েটার পুলিশ কোয়ার্টারের সামনে রোববার সকালে বিস্ফোরণ ঘটে। হতাহতের সংখ্যা এখনও প্রকাশ করেনি প্রশাসন। তবে প্রাথমিকভাবে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে পাকিস্তান সুপার লিগের ম্যাচও। ইতিমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাকিস্তানের তালেবান। মসজিদে হামলার নেপথ্যেও ছিল এই সংগঠন।
রোববার বালুচিস্তানের কোয়েটায় পাকিস্তান সুপার লিগের ম্যাচ ছিল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আঁটসাট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় খেলোয়াড়দের জন্য। কিন্তু নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপরেই হামলা চলে। রোববার সকালের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কোয়েটার পুলিশ হেডকোয়ার্টার। একই সময়ে বিস্ফোরণ হয় কোয়েটার পুলিশ ক্যান্টনমেন্টের প্রবেশপথে। বিস্ফোরণের ভয়াবহ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়।
বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা এখনও প্রকাশ করেনি প্রশাসন। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুরুতর আহত অবস্থায় পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেই অনুমান। ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই হামলার দায় স্বীকার করে তেহরিক-ই-তালেবান। গত সোমবার মসজিদে হামলার পরেও দায় স্বীকার করেছিল নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী। দুই ক্ষেত্রেই হামলার লক্ষ্য ছিলেন পুলিশ কর্মীরা। পুলিশের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায়তেই টানা দু’বার হামলা করল তালেবানের পাকিস্তান শাখা।
প্রসঙ্গত, পেশোয়ারের মসজিদের হামলার বদলা নিতে উত্তর পশ্চিম পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। শনিবারেই পুলিশের অভিযানে ২ তেহরিক-ই-তালেবান সদস্য নিহত হয়। প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক-সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তাই প্রতিশোধ নিতেই রোববার ফের হামলা চালিয়েছে তালেবান, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন