উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য ত্রিপুরায় ১৬ ফেব্রুয়ারি বিধানসভা নির্বাচন। ক্ষমতাসীন বিজেপি যেমন ফিরে আসতে মরিয়া, তেমনই এই নির্বাচনে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস জোট বেধে ভোটে লড়ছে। তৃতীয় পক্ষ হিসেবে মাঠে নেমেছে ত্রিপুরার সাবেক মহারাজের উত্তরাধিকারী প্রদ্যোৎ বিক্রম মাণিক্য দেববর্মনের নেতৃত্বাধীন উপজাতীয় দল তিপ্রা মোথাও। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় মেলার মাঠে সিপিআইএমের দফতর থেকে পোস্ট অফিস চৌমুহনীতে কংগ্রেস দফতরের মধ্যে দূরত্ব এক কিলোমিটারেরও কম। এই দুটি শক্তি চিরকালই থেকেছে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। ১৯৭৭ সালে মাস ছয়েকের জন্য অবশ্য দুই বিপরীত মেরুর দুই দল কাছাকাছি এসেছিল। তখন সরকারও একটা সমঝোতা চালিয়েছিল। কিন্তু বাকি সবসময়েই বাম আর কংগ্রেস দুই মেরুতে অবস্থান করেছে। এবারের ভোটের আগে দুই মেরুর দুই দল মিলে গিয়েছে। আর এ কাজটি করেছে তাদের থেকে যাদের মতাদর্শগত অবস্থান ১৮০ ডিগ্রি বিপরীতে, সেই ক্ষমতাসীন বিজেপি। বামফ্রন্টের লাল ঝা-া আর কংগ্রেসের তেরঙ্গা পতাকা এখন একসাথে দেখা যাচ্ছে ভোটের প্রচারে। নির্বাচনী আসন সমঝোতার ফলে ৪৩টি আসনে লড়ছে বামফ্রন্ট আর ১৩টিতে কংগ্রেস। একটি আসনে তারা নির্দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন করছে। বিজেপির মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্যের বলেন, ‘এই সমঝোতা হয়েছে একেবারে উপরের স্তর থেকে। কিন্তু সাধারণ কর্মী সমর্থকরা নেতাদের সাথে নেই। মানুষের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে এই জোট করেছেন নেতারা। কংগ্রেসের সাবেক সাধারণ কর্মীরা বিজেপির সাথে আছে। সিপিএম আমলে যেসব সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের ওপরে অত্যাচার হয়েছে, বাড়ি পোড়ানো হয়েছে, তারা কী করে বাম প্রার্থীদের ভোট দেবে?’ তিনি বলেন, কংগ্রেসের একটা অংশ বাম-বিরোধী ছিল ঠিকই, কিন্তু আরেকটা অংশ তলে তলে সিপিএমের হয়েই কাজ করত। যা ফলে সিপিএম আড়াই দশক একটানা ক্ষমতায় থেকে যেতে পেরেছিল। সেই অংশটাই এখন প্রকাশ্যে জোট করেছে বামফ্রন্টের সাথে’। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন