রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নারী শিক্ষা নিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তালিবান

দ্য টেলিগ্রাফ | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

আফগানিস্তানে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের পতিত হয়েছে দেশটির তালিবান সরকার। ইস্যুটি নিয়ে প্রথমবারের মতো বিভেদ ও ক্ষমতা সংঘাত পরিলক্ষিত হয়েছে তালিবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে। আফগানিস্তানের ক্ষমতাশালী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি বলেছেন, তালিবানের অভ্যন্তরে ক্ষমতা একচেটিয়া হয়ে পড়েছে এবং পরিস্থিতি আর সহ্য করা যাবে না। তিনি বলেন, ‘এখন যেহেতু আমরা ক্ষমতায় আছি, আমাদের জনগণের ক্ষত সারানো এবং তাদের ত্রাণ দেয়া আমাদের দায়িত্ব’। নারী শিক্ষাকে পুরোপুরি নিষিদ্ধকৃত মৌলবাদী আন্দোলনকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান বিতর্কের মধ্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নারী শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। বিদেশী কূটনীতিকদের মতে, হাক্কানি মেয়েদের স্কুলে ফিরে আসার বিষয়ে আরো উদার এবং ভারপ্রাপ্ত উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুব তাকে সমর্থন করেন।
আখুন্দজাদা এবং তার মুষ্টিমেয় ঘনিষ্ঠ সহযোগী, যাদের তালিবানের সরকারে কোনো আনুষ্ঠানিক ভূমিকা নেই, তারাই আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা বন্ধের নির্দেশের পিছনে চালিকাশক্তি বলে মনে করা হয়। রোববার খোস্ত প্রদেশে হাক্কানি ধর্মীয় নেতাদের এক সমাবেশে বলেন যে, তালিবানদের এমন নীতি অনুসরণ করা উচিত নয়, যা তাদের এবং আফগান জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। এরপর, বৃহস্পতিবার ইয়াকুব বলেন যে, সরকারকে জনগণের ন্যায্য দাবি শোনা উচিত, যাতে তারা শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক বা ধর্মীয় আক্রমণ ছাড়াই বাঁচতে পারে। অনেকে বলছেন যে, তালিবান সদস্যদের শীর্ষ নেতাদের এমন তীর্যক সমালোচনা করা বিরল। দ্য উইলসন সেন্টারের থিঙ্ক ট্যাঙ্কের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, ‘হক্কানি প্রকাশ্যে তার সমালোচনা প্রকাশ করার বিষয়টি তালিবানের মধ্যে চলমান বিবাদের একটি বড় বৃদ্ধিকে চিহ্নিত করে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন