কার্যতই হতদরিদ্র অবস্থা পাকিস্তানের। এ অবস্থায় পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল ‘বন্ধু’ চীন। দিল ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু এতেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের আশঙ্কা, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশী দেশকে এভাবে ঋণ দেয়ার পর চীন তার বলপূর্বক লাভ তুলতে পারে।
১ মার্চ তিনদিনের সফরে ভারতে যাবেন মার্কিন পররষ্ট্রসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। এ অবস্থায় আমেরিকার দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিভাগের সহকারী সচিব ডোনাল্ড লিউ জানাচ্ছেন, ‘ভারতের নিকটবর্তী প্রতিবেশী দেশগুলিকে চীন ঋণ দেয়ায় আমরা গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। এই ঋণকে ওই দেশগুলির উপরে জোর খাটিয়ে ফায়দা তোলার কাজে লাগানো হতে পারে, এই আশঙ্কা হচ্ছে আমাদের।’
লিউ আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে কথা বলেছি। কথা বলছি অন্য দেশগুলির সঙ্গেও।’ চীন নিয়ে যে ভারতের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে, সেকথাও জানাচ্ছেন তিনি।
দীর্ঘ আলোচনার শেষে কঠিন শর্তের বিনিময়ে আইএমএফের ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। তারপরেই আন্তর্জাতিক সংস্থাটির শর্ত মেনে মঙ্গলবার নতুন বিল পাশ হয় পাকিস্তানের সংসদে। এতে কর ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছে শাহবাজ শরিফের সরকার। ফলে আমজনতার উপর করের বোঝা বিপুল ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সব মিলিয়ে সাধারণ পাকিস্তানের জনতার অবস্থা তথৈবচ। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন