যুক্তরাষ্ট্রের স্পেসএক্সের ইন্টারনেট উপগ্রহ স্টারলিংকের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চীন পৃথিবীর কক্ষপথে প্রায় ১৩ হাজার উপগ্রহ স্থাপনের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, চীনা সামরিক বাহিনী একটি উপগ্রহ বলয় চালু করবে, যা তার মার্কিন প্রতিপক্ষের মতো একই পরিষেবা সরবরাহ করবে। এতে বিরোধীদের ওপর গোয়েন্দাগিরি করার ক্ষমতাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ‘জিডব্লিউ’ নামক প্রকল্পটির পরিচালিত হচ্ছে ‘চায়না স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক গ্রুপ কো’-এর মাধ্যমে। প্রতিষ্ঠানটি শিগগিরই মোট ১২ হাজার ৯শ’ ৯২টি ছোট উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে, যা মাথা ব্যথার কারণ হতে যাচ্ছে স্টার লিংকের প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের। চায়না স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক গ্রুপ কো তাদের নিজস্ব উপগ্রহমন্ডলের মাধ্যমে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলোকে নির্ণয় করতে এবং এমনকি নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম বলেও দাবি করেছে। চীনের গবেষকরা স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইটগুলোর কৌশলের ক্ষমতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দাবি করেছেন যে, এর ক্ষমতাটি মহাকাশে অন্যান্য বস্তুকে লক্ষ্যে পরিণত করতে পারে এবং সেগুলো ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হতে পারে। এর বিপরীতে তাদের নিজস্ব উপগ্রহ বহর চালু করার মাধ্যমে চীন আশ করছে যে, সেই আশঙ্কা মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। স্টারলিংক উপগ্রহ বহরের সম্ভাব্য সামরিক প্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, বিশেষ করে, ইউক্রেনের বর্তমান সংঘাতের কারণে চীন চায় প্রতিটি স্টারলিঙ্ক উপগ্রহ সনাক্ত করতে এবং তাদের গতিবিধি জানতে সক্ষম হতে।
স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির গবেষকরা চীনকে একটি আন্তর্জাতিক অ-স্টারলিংক জোট শুরু করার পরামর্শ দিয়েছেন, যা যৌথভাবে স্পেসএক্সকে তার উপগ্রহগুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান জনসাধারণকে জানানোর দাবি করতে পারে। এটি সেই দেশগুলোর জন্য একটি উৎসাহমূলক হতে পারে, বর্তমানে যেগুলো স্টারলিংক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে চীন, রাশিয়া, ইরান, বেলারুশ, কিউবা, ভেনিজুয়েলা এবং আফগানিস্তান। মার্কিন সরকারের তুলনায় চীন সরকারের অনেক দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে, তাই স্টার লিংকের প্রতিকূলতা এশিয়ার পরিষেবা বাজারে একটি ফাঁক তৈরি করবে। সূত্র : সমাচার সেন্ট্রাল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন