মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আটক হাজারো গ্যাংস্টারের গায়ে ট্যাটু

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদরে খুনসহ অন্যান্য সহিংস অপরাধের মাত্রা বৃদ্ধির পর প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারির পাশাপাশি যুদ্ধ ঘোষণা করেন অপরাধের বিরুদ্ধে। আইনশৃংখলা বাহিনীর জরুরি ক্ষমতার আওতায় প্রায় ১০ হাজার গ্যাংস্টারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে দুই হাজার সন্দেহভাজন সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীর প্রথম দলটিকে নতুন তৈরি একটি বিশাল কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এ কারাগারে ৪০ হাজারেরও বেশি সন্দেহভাজন অপরাধীকে রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। ছবিতে দেখা যায় মাথার চুল কামিয়ে দেওয়া খালি গায়ের বিশাল দলটিকে নিরাপত্তারক্ষীরা শেকল বাঁধা অবস্থায় কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে। বন্দিদের প্রায় সবার গায়েই আঁকা ছিল বিভিন্ন রকম ট্যাটু। খবর বিবিসির। প্রেসিডেন্ট বুকেলে এক টুইট বার্তায় জানান যে, একক অভিযানে গ্রেপ্তার প্রথম দুই হাজার অপরাধীকে ভোরবেলায় ‘সেন্টার ফর দ্য কনফাইনমেন্ট অফ টেরোরিজম’ বা সন্ত্রাস বিরোধী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। এটি আমেরিকা মহাদেশের সর্ববৃহৎ কারাগার। রাজধানী সান সালভাদর থেকে ৭৪ কিলোমিটার (৪৬ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে টেকোলুকা এলাকার এই বিশাল কারাগারটি আটটি ভবন নিয়ে গঠিত। ভবনটিতে রয়েছে ৩২টি সেল। প্রতিটি সেলে ১০০ জনের বেশি বন্দিকে রাখার জন্য রয়েছে ১০০ বর্গ মিটার করে জায়গা। এছাড়া প্রতিটি সেলে মাত্র দুটি সিঙ্ক এবং দুটি টয়লেট রয়েছে। এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট বুকেলে বলেন, ‘এটি হবে তাদের নতুন বাড়ি, যেখানে তারা কয়েক দশক ধরে বসবাস করবে, তারা জনসাধারণের আর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না’। সরকারি তথ্যমতে, ৪০ হাজার জনের কারা ব্যবস্থাসম্পন্ন নতুন নির্মিত কারাগারে সম্প্রতি প্রায় ২ হাজার অভিযুক্ত গ্যাং সদস্যকে স্থানান্তর করা হয়েছে। কারাগারটি আমেরিকার সবচেয়ে বৃহত্তম কারাগার হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। সালভাদরের কংগ্রেসে বুকেলে তার মিত্রদের গত বছর একটি ‘বিশেষ আইন’ অনুমোদন করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। ওই সময় গ্যাং অপরাধের সঙ্গে জড়িত হত্যাকা- অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন আইন করা হয়। এতে কিছু নাগরিক সাংবিধানিক অধিকার স্থগিত হয়। এরপর গ্যাং অপরাধবিরোধী সরকারি অভিযানে ৬৪ হাজারের অধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। নতুন আইনে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই আটক করার সুযোগ পায় দেশটির আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া আটকদের আইনজীবী নিয়োগের অধিকার বাতিল করা হয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলো জানিয়েছে, এই নীতিতে নির্দোষ মানুষ ধরা পড়েছে। যার মধ্যে অন্তত কয়েক ডজন পুলিশ হেফাজতে মারা গেছে। কিন্তু বুকেলের গ্যাংবিরোধী অভিযান সালভাদরদের মধ্যে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দেশটির নিরাপত্তামন্ত্রী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, যতক্ষণ না সব অপরাধীকে ধরা হয় ততক্ষণ অভিযান অব্যাহত থাকবে। বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন