পুড়ে যাওয়া গাড়ির মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছিল দুই মুসলিম যুবকের লাশ। অভিযোগ, গোরক্ষকরাই দুই যুবককে অপহরণ করে নির্মমভাবে হত্যা করে। অভিযুক্ত ৮ গোরক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্ত বজরং দলের এক সদস্য। এই ঘটনাতেই দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের নূহ জেলায়। অশান্তি রুখতে এলাকার ইন্টারনেট পরিষেবা করেছে প্রশাসন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানের ভরতপুরের বাসিন্দা দুই যুবক নাসির ও জুনায়েদ। বুধবার সকালে গাড়ি নিয়ে দোকানে গিয়েছিলেন তারা। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। তাদের এক ভাই পুলিশের কাছে অপহরণের অভিযোগ করেন। এর পর হরিয়ানার ভিওয়ানি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, দুই ভাইকে অপহরণ করে পুড়িয়ে মারে গোরক্ষকরা। যার মধ্যে রয়েছে বজরং দলের এক সদস্যও। এই ঘটনাতেই দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হরিয়ানার নূহ জেলায়।
ঘটনার পর থেকেই অশান্তি শুরু হয়েছিল এলাকায়। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করে জনতা। একাধিক রাস্তা অবরোধ করে তারা। এইসঙ্গে দোকানপাটে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। শুক্রবার থেকেই নূহ-আলওয়ার জাতীয় সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মুসলমানরা। এই অবস্থায় সাম্প্রদায়িক অশান্ত এড়াতে নূহ জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। পুলিশের বক্তব্য, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া মারফত যাতে কোনওভাবেই গুজব না ছড়ায়, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এমনকী সাময়িকভাবে ওই এলাকায় এসএমএস পরিষেবাও বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে, এফআইআর-এ নাম থাকা আট অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মিলেছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছে নূহ-র বাসিন্দা অনিল ও শ্রীকান্ত, কাইথালের বাসিন্দা কালু, কারনালের বাসিন্দা কিশোর ও শশীকান্ত, ভিওয়ানির বাসন্দা মনু ও গোগি এবং জিন্দের বাসিন্দা বিকাশ। পুলিশের বক্তব্য, বজরং দলের সদস্য মনু মনশরের এই খুনের ঘটনায় ঠিক কী ভূমিকা ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন