হাতির সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক ভারতের। প্রাচীন ভারতে যুদ্ধের ময়দানে গুরুত্বের বিচারে ঘোড়ার পড়েই ছিল হাতির স্থান। বাংলার জঙ্গল লাগোয়া এলাকাতে হাতি ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে দক্ষিণ ভারতে এই প্রাণীটির সম্মান অনেকটাই বেশি। কেরলে ধর্মীয় আচার ও অনুষ্ঠানে হাতির উপস্থিতি ছাড়া সম্ভবই না। তবে এবারে নিয়মে খানিক বদল আসছে।
না, হাতি বাদ যাচ্ছে না। তবে জ্যান্ত হাতির বদলে রোবট হাতিকে দিয়েই মন্দিরের যাবতীয় আচার পালন করা হবে। কেরলের ত্রিশুর জেলার ইরিঞ্জাদাপল্লী শ্রী কৃষ্ণ মন্দিরে এমনই এক রোবটিক হাতি উপহার দিয়েছে পেটা ইন্ডিয়া নামে এক পশু সংরক্ষণ সংস্থা। রোবট হাতিটির নাম দেয়া হয়েছে ‘ইরিঞ্জাদাপল্লী রামন’। তার উচ্চতা সাড়ে ১০ ফুট। ওজন ৮০০ কেজি। এই হাতিতে একসঙ্গে চড়তে পারবেন চারজন। জ্যান্ত হাতির মতোই মাথা, চোখ এবং কান নাড়াতে পারে রোবট হাতি। তবে তার জন্য বিদ্যুতসংযোগ লাগে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবৎ ত্রিশুরের এ মন্দিরে জ্যান্ত হাতি দেখতে অভ্যস্ত পূণ্যার্থীরা। কিন্তু একাধিকবার আচার-অনুষ্ঠানের সময় বন্যপ্রাণীটির অসংলগ্ন আচরণে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই কারণেই মন্দির কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি আচার পালনে হাতির ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই অবস্থায় রোবটিক হাতির ব্যবস্থা করল পেটা ইন্ডিয়া। রবিবার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে রোবট হাতিকে নিবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হেরিটেজ অ্যানিমেল টাস্ক ফোর্সের এক প্রতিবেদন অনুসারে, গত ১৫ বছরে কেরলে হাতির হামলায় ৫২৬ জন মারা গিয়েছে। এই ভয়ংকর পরিসংখ্যানটি মাথায় রেখেই ত্রিশুরের ইরিঞ্জাদপল্লী শ্রী কৃষ্ণ মন্দিরে আচার-আনুষ্ঠানে হাতির ব্যবহার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মন্দির কর্তৃপক্ষের এক প্রতিনিধি বলেন, আশা করি অন্য মন্দিরগুলি একই পদক্ষেপ করবে। তবে তাদের মতো রোবট হাতি রাখলে সমস্যা নেই। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন