ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযানের পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিকরা মুখোমুখি কথা বলেছেন। তারা বৃহস্পতিবার দিল্লিতি জি ২০ সম্মেলনের ফাঁকে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকে মিলিত হন।
মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট এন্টনি ব্লিঙ্কেন এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ভি ল্যাভরভের মধ্যে বৈঠকটি অপ্রত্যাশিত ছিল। রাশিয়ার যুদ্ধ এখন তার দ্বিতীয় বছরে, অনেক দেশ এর অর্থনৈতিক প্রভাব, বিশেষত খাদ্য এবং জ্বালানির দাম সম্পর্কে আরও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যিনি রাশিয়ার আক্রমণের সরাসরি সমালোচনা এড়িয়ে গেছেন, তিনি জি ২০ বৈঠকে একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন যে, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে বর্তমান ‘ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা’ আলোচনার বিষয় হবে। তিনি আশা করেছিলেন যে, কূটনীতিকরা এ বিষয়ে মনোনিবেশ করবেন।
ব্লিঙ্কেন ল্যাভরভের কাছে তিনটি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন বলে স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন। সেগুলো হচ্ছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে তার প্রতিরক্ষায় ‘যতদিন সময় লাগবে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন অব্যাহত রাখবে; রাশিয়ার ‘নিউ স্টার্ট’ পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিতে পুনরায় যোগদান করা উচিত যা থেকে তারা সম্প্রতি বেরিয়ে এসেছে এবং রাশিয়ার উচিত বন্দী মার্কিন নাগরিক পল হুইলানকে মুক্তি দেয়া।
ব্লিঙ্কেন নিজেই ল্যাভরভের সাথে সাক্ষাতের অনুরোধ করেছিলেন, রাশিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে। যা পরামর্শ দেয় যে, বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনের যুদ্ধের বিরোধী পক্ষ থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার সাথে যোগাযোগের লাইন খোলা রাখতে চায়। এর আগে বৃহস্পতিবার জি ২০ বৈঠকে ব্লিঙ্কেন কিয়েভের জন্য বৃহত্তর সমর্থন জোগাড় করতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার বিনা উসকানি ও অযৌক্তিক যুদ্ধের কারণে এই বৈঠক আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ল্যাভরভ বলেছেন যে, জি-২০ বৈঠক, যা বৃহস্পতিবার শেষ হবে, যুদ্ধ নিয়ে মতবিরোধের কারণে যৌথ বিবৃতি দেবে না। তিনি পশ্চিমা দেশগুলোকে অভিযুক্ত করেছেন সংঘাতে উসকানি দেয়ার জন্য এবং ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে তাতে তারা ইন্ধন জোগাচ্ছে। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন