আপৎকালীন বিনিয়োগ হিসেবে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বর্ণ মজুদ করে রাখে। স্বর্ণ মজুদকে একটি দেশের আর্থিক সক্ষমতার বড় মাপকাঠি হিসেবে দেখা হয়। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের তথ্যানুযায়ী, সবশেষ হিসাবে জানুয়ারিতে বিশ্বের দেশগুলোর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৩১ টন স্বর্ণ যুক্ত হয়েছে। বুলিয়ন বাজারে মাসভিত্তিক হিসাবে স্বর্ণ বিক্রি বেড়েছে ১৬ শতাংশ। টানা ১০ মাস ধরেই স্বর্ণ ক্রয়ের পরিমাণ ২০-৬১ টনের মধ্যে ছিল, যেটিকে সুবিধাজনক পরিমাণ বলে উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত জানুয়ারির স্বর্ণ মজুদ পরিস্থিতি ২০২২ সালের জানুয়ারির তুলনায় ঠিক উল্টো। সে সময় ১২ টন স্বর্ণ রিজার্ভ থেকে হারিয়েছিল ব্যাংকগুলো। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্য পিপলস ব্যাংক অব চায়না জানুয়ারিতে এককভাবে ১৪ দশমিক ৯ টন স্বর্ণ কিনেছে। সব মিলিয়ে এখন চীনের কাছে স্বর্ণ মজুদ ২ হাজার ২৫ টন, যা দেশটির মোট রিজার্ভের ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। জানুয়ারিতে ন্যাশনাল ব্যাংক অব কাজাখস্তান ৩ দশমিক ৯ টন স্বর্ণ কিনেছে, যার মাধ্যমে দেশটির স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ টনে। একই সময়ে ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক ১ দশমিক ৯ টন স্বর্ণ কিনেছে। জানুয়ারিতে ডব্লিউজিসি যে বার্ষিক প্রতিবেদন দিয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে, নানা ধরনের ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও উচ্চমূল্যস্ফীতির পরও গত বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর বার্ষিক স্বর্ণের চাহিদা বেড়ে ১ হাজার ১৩৬ টন হয়েছে, যা আগের বছরের চাহিদা ৪৫০ টনের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। চাহিদার এ উল্লম্ফন ১৯৬৭ সালের পর বাৎসরিক হিসেবে সবচেয়ে বেশি। মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক অস্থিরতাপূর্ণ পরিস্থিতিতে স্বর্ণকে দেখা হয় অনেকটা প্রতিবন্ধক বা বাধা হিসেবে। ডব্লিউজিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন