ইনকিলাব ডেস্ক : ২০১৬ সালে বিশ্বের সাতটি মুসলিম দেশে ২৬ হাজার ১৭১টি বোমা হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যে ইরাক ও সিরিয়াতেই ২৪ হাজারেরও বেশি বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া ইয়েমেন, আফগানিস্তান, সোমালিয়া এবং লিবিয়াতেও বোমা বর্ষণ করেছে তারা। মার্কিন সামরিক সদর দফতর পেন্টাগন প্রকাশিত পরিসংখ্যানের বরাতে কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন নামে দেশটির একটি থিংট্যাংকের সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় ১২ হাজার ১৯২টি, ইরাকে ১২ হাজার ৯৫টি, আফগানিস্তানে এক হাজার ৩৩৭টি, লিবিয়ায় ৪৯৬টি, ইয়েমেনে ৩৪, সোমালিয়ায় ১৪ এবং পাকিস্তানে ৩টি বোমা ফেলেছে। এর আগে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছয় মুসলিম দেশ সিরিয়ায়, ইরাকে, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইয়েমেন এবং সোমালিয়ায় ২৩ হাজার ১৪৪টি বোমা ফেলেছিল। পরের বছর ওই ছয়টি দেশের সঙ্গে লিবিয়াতেও বোমা ফেলে যুক্তরাষ্ট্র।
অপর দিকে, পাকিস্তানে ড্রোন হামলা হ্রাস করা হয়েছে। কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনের সমীক্ষার বরাতে পাকিস্তানী সংবাদপত্র দি ডন জানিয়েছে, দেশটিতে মার্কিন ড্রোন বিমান হামলার সংখ্যা রেকর্ড সংখ্যক হারে হ্রাস পেয়েছে। গত বছর দেশটিতে মাত্র তিনবার মার্কিন ড্রোন হামলা চালানোর তথ্যের বরাতে এ কথা জানানো হয়। পত্রিকাটি আরো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে সরে ইরাক ও সিরিয়ার ওপর পড়ায় ড্রোন হামলা হ্রাস পেয়েছে। ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক জোট। এরপর তালিবান যোদ্ধারা পাকিস্তানের কেন্দ্রীয়ভাবে শাসিত উপজাতি এলাকা ফাটায় আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে পাকিস্তান-আফগানিস্তানে হামলা চালাতো তারা। ফাটা এলাকার তালিবান যোদ্ধাদের দমন করার কথা বলে নিয়মিতই ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। এর শিকার হয়ে নারী ও শিশুসহ বহু সাধারণ মানুষও নিহত হয়। ২০১৪ সালের জুন থেকে ফাটা অঞ্চলে লুকিয়ে থাকা তালিবান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত অভিযান শুরু করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এরপর সেখানে তালিবান তৎপরতা হ্রাস পায়। পাশাপাশি মার্কিন ড্রোন হামলার সংখ্যাও নাটকীয়ভাবে কমে আসে। দি ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন