ইনকিলাব ডেস্ক : পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি হ্রাসের বিষয়টি বিবেচনা করতে অস্বীকার করায় পিয়ংইয়ংয়ের দেয়া শান্তি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল ওয়াশিংটন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এতে করে কোরিয়া উপদ্বীপে নতুন করে আরো উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে। কারণ, শান্তি আলোচনার বিষয়ে উভয়পক্ষই নিজেদের অবস্থানে কঠোর থাকার পরিপ্রেক্ষিতে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে। খবরে বলা হয়, ১৯৫০-১৯৫৩ সাল পর্যন্ত চলা কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক অবসানে চলতি বছরের প্রথম দিকে পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ পরমাণু পরীক্ষার মাত্র দিনকয়েক আগে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন গোপনে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা করতে সম্মত হয়Ñ যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এরপর এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে শান্তিচুক্তি নিয়ে আলোচনার একটি প্রস্তাব হাতে পেয়েছিল। কিন্তু সেটা প্রত্যাখ্যানও করা হয়েছে।
কিরবি সাংবাদিকদের আরো বলেন, শান্তিচুক্তি নিয়ে উত্তর কোরিয়ার আলোচনার প্রস্তাব আমরা হাতে পেয়েছিলাম। সতর্কতার সঙ্গে তাদের প্রস্তাব বিবেচনা শেষে স্পষ্টভাবে না করে দেয়া হয়েছে। কারণ, আমরা বলেছিলাম, অ-পারমাণবিকীকরণ বিষয়গুলো শান্তি আলোচনার অংশ হতে হবে। তাহলেই ওয়াশিংটন আলোচনার টেবিলে বসবে। কিন্তু তারা আমাদের ওই জবাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। অথচ উত্তর কোরিয়ার অ-পারমাণবিকীকরণে আমাদের দীর্ঘদিনের অবস্থান থেকে এই জবাব দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন