বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিলম্বিত হতে পারে ব্রেক্সিট বিল

ব্রিটেনের উচ্চকক্ষ হাউজ অব লর্ডসে ব্রেক্সিট বিল-বিষয়ক বিতর্ক শুরু

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিটেনের উচ্চকক্ষ হাউজ অব লর্ডসে ব্রেক্সিট বিল-বিষয়ক বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে হাউজ অব লর্ডসের অনির্বাচিত সদস্যদের সিংহভাগ ব্রেক্সিট বিলের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় এটি পাস হতে সময় লাগবে। এদিকে একই দিনে ব্রেক্সিট কর্মকৌশলের সমালোচনা করেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জন মেজর। সুপ্রিম কোর্টের রুলের জবাবে পার্লামেন্টে একটি খসড়া আইন উত্থাপন করে ব্রিটিশ সরকার। সেখানে জোটের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট আলোচনা শুরুর সার্বিক ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর ওপর অর্পণ করা হয়। খসড়া আইনটি গত জানুয়ারিতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষÑ হাউজ অব কমন্সের অনুমোদন লাভ করে। বর্তমানে আইনটি হাউজ অব লর্ডসের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। নিম্নকক্ষে ক্ষমতাসীন দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় খসড়া বিলটি পাস করতে বেগ পেতে হয়নি সরকারকে। তবে হাউজ অব লর্ডসের অনির্বাচিত ৮০০ সদস্যের মাত্র ২৫২ জন কনজারভেটিভ পার্টির। গত সোমবার শুরু হওয়া বিতর্কে উচ্চকক্ষের সদস্যরা বিলটিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছেন। গত বছর জুনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেনবাসী। দেশবাসীর ব্রেক্সিট সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে আগামী মাসে ইইউর লিসবন চুক্তির ৫০ ধারা প্রয়োগের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু করবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিসা মে। আলোচনা শুরুর পর চূড়ান্ত রূপে ব্রেক্সিট কার্যকর হতে অন্তত দুই বছর সময় লাগবে। তবে সুপ্রিম কোর্টের জারিকৃত রুল অনুযায়ী ইইউ ত্যাগের এখতিয়ার রয়েছে পার্লামেন্ট সদস্যদের হাতে। এ কারণে পার্লামেন্টের অনুমোদন ব্যতীত ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু করতে পারবেন না মে। এর আগে খসড়া আইনের সংশোধনী-সংক্রান্ত প্রথম ভোট অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রথম সংশোধনীতে বর্তমানে ব্রিটেনে বসবাসরত ৩০ লাখ ইউরোপীয় নাগরিকের স্বার্থ নিশ্চিত করা হবে। দ্বিতীয় সংশোধনীর জন্য আগামী সপ্তাহে আরেক দফা ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বিতীয় সংশোধনী অনুযায়ী, ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত চুক্তিতে পার্লামেন্টের ভোট প্রদানের ক্ষমতাকে আইনে পরিণত করা হবে। হাউজ অব লর্ডসে সংশোধনী দুটি গৃহীত হলে সেগুলোয় নিম্নকক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে। সময়সাপেক্ষ এ প্রক্রিয়া আগামী মাসের শেষে ব্রেক্সিট আলোচনা শুরুর পরিকল্পনাকে কষ্টসাধ্য করে তুলবে। এদিকে মে প্রশাসনের ব্রেক্সিট দৃষ্টিভঙ্গিকে উচ্চাভিলাষী হিসেবে আখ্যায়িত করেন কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন মেজর। তিনি বলেন, মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনার সঙ্গে দ্বিমত পোষণকারীদের সমালোচনা বন্ধ করার সময় এসেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভিন্ন বাজার থেকে ব্রিটেন বেরিয়ে গেলে সে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ব্রিটিশরা ভুক্তভোগী হবে বলে সতর্ক করে দেন তিনি। সেসঙ্গে তিনি জানান, সরকার ব্রেক্সিট পরিকল্পনার ব্যাপারে স্বচ্ছতা অবলম্বন করেনি। এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন