শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আউটসোর্সিংয়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেসে নতুন প্রস্তাব

| প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কল সেন্টার আউটসোর্সিংয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন কংগ্রেসে আবারো একটি প্রস্তাব উঠেছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় পক্ষের আইনপ্রণেতাদের সমর্থনপুষ্ট প্রস্তাবটিতে আউটসোর্সিংয়ে জড়িত প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারি অনুদান ও সহায়তা নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে। ভারত, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে সেবাবাণিজ্য স্থানান্তর ঠেকাতে কংগ্রেসে এই প্রস্তাব উঠানো হয়েছে। ডেমোক্রেটিক পার্টির জিন গ্রিন ও রিপাবলিকান পার্টির ডেভিড ম্যাকিনলের উত্থাপিত প্রস্তাবটির শিরোনাম ইউএস কল সেন্টার অ্যান্ড কনজিউমার প্রটেকশন অ্যাক্ট। এ প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে কাজ স্থানান্তর নিরুৎসাহিত করতে আউটসোর্সিংয়ে জড়িত কোম্পানিগুলোর উন্মুুক্ত কালো তালিকা প্রণয়নের কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাব উত্থাপনকারী কংগ্রেসম্যান গ্রিন ও ম্যাকিনলে বলেন, কালো তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো ফেডারেল সরকারের মঞ্জুরি ও গ্যারান্টিড ঋণের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবে। এছাড়া প্রস্তাবিত আইনে ক্রেতাদের কাছে বিদেশী কল সেন্টারগুলোর অবস্থান ও ঠিকানা জানানো বাধ্যতামূলক করার বিধান থাকছে। ক্রেতারা যদি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে অবস্থিত কোনো সার্ভিস এজেন্টের কাছে কাজ স্থানান্তরের অনুরোধ করে, বিদেশী কল সেন্টার তাতে বাধ্য থাকবে বলেও নতুন প্রস্তাবে বলা হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে আউটসোর্সিংয়ের বিরুদ্ধে অনুরূপ একটি আইন উত্থাপিত হয়েছিল। ওই আইনেও বিদেশী কল সেন্টারের জন্য ক্রেতার কাছে নিজেদের ঠিকানা প্রকাশ এবং স্থানীয় কোনো কল সেন্টারে সেবা স্থানান্তরের বিকল্প (অপশন) রাখা বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়। কংগ্রেসম্যান জিন গ্রিন জানান, শুধু টেক্সাসের গ্রেটার হিউস্টন এলাকায় ৫৪ হাজার কল সেন্টার রয়েছে। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মোট কল সেন্টার সংখ্যা ২৫ লাখ। মার্কিন কর্মীরা যাতে সেবা খাতে ভালো কাজ পায় এবং জীবনধারণের উপযোগী বেতন পায়, সেটা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। জিন গ্রিন আরো বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আমরা ভারত, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে কল সেন্টারের কাজ স্থানান্তর হতে দেখেছি। উভয় দলের সমর্থনপুষ্ট এ প্রস্তাব টেক্সাসসহ সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে কল সেন্টার কর্মীদের স্বার্থরক্ষা করবে। জিন গ্রিন উল্লেখ করেন, গত এক দশকে বিদেশে কল সেন্টার স্থানান্তরের ঘটনা বেড়েছে। এমন জায়গায় কল সেন্টারগুলো স্থানান্তর হচ্ছে, যেখানে কর্মীরা ভালো কর্মপরিবেশ পান না, মজুরিও অনেক পান। এদিকে একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে স্থানীয় জনগোষ্ঠী বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে নিজেদের এলাকায় কাজের সুযোগ ফিরিয়ে আনতে। কিন্তু তাদের হাত খালিই থেকে গেছে। কংগ্রেসম্যান ঢিভিড ম্যাকিনলে বলেন, আমাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার হলো যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান সুরক্ষা ও সৃষ্টি করা। সোজা কথা, যেসব কোম্পানি বিদেশে চাকরি স্থানান্তর করে, তাদের আমরা কোনোভাবেই পৃষ্ঠপোষকতা করব না। পিটিআই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন