ইনকিলাব ডেস্ক : দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী, সিপিআই (এম) সাধারণ সম্পাদক সিতারাম ইয়েচুরিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। ভারতের পার্লামেন্টে ২০০১ সালে হামলার অভিযোগে আফজাল গুরুর ফাঁসির বার্ষিকীতে দিল্লিতে জওয়াহারলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যালি আয়োজন করেছিল শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় কন্যা কুমার নামে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এ কারণে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের ওই মামলা। পুলিশ বলেছে, আইনজীবী জনার্ধন গৌড়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ওই মামলা নিবন্ধনের নির্দেশ দেয়। মামলায় আরও অভিযুক্ত করা হয়েছে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা, অজয় মেকেন, সিপিআই নেতা ডি রাজা, জেডি (ইউ) মুখপাত্র কেসি তাইগি, জওয়াহারলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সভাপতি কন্যা কুমার, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক উমর খালিদকে। পুলিশ বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইপিসির ১২৪(এ) ধারার অধীনে রাষ্ট্রদ্রোহের ওই অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ মামলাটি দিল্লিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ স্টেশনে পাঠানোর কথা। মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে ৪ মার্চ। আদালতে দাখিল করা আবেদনে জনার্ধন গৌড় বলেছেন, রাহুল গান্ধী ও অন্য নেতারা জানতেন যে জওয়াহারলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় কন্যা কুমারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান এবং কন্যা কুমারদের আন্দোলনকে সজ্ঞানে সমর্থন দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আফজাল গুরুর ফাঁসির বার্ষিকী পালন নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে কমপক্ষে ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। জনার্ধন গৌড় গত বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তার অভিযোগ জমা দেন। দাবি করেন আদালত যেন পুলিশকে কন্যা কুমার, খালিদসহ ওই ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা নিবন্ধনের নির্দেশ দেয়।
আবেদনে তিনি আরও বলেন, যারা রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকা-ে জড়িত, তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের নামে জাতীয়তা বিরোধী উসকানি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার তার অধিকার আছে। এ ঘটনার পর দিল্লিতে কংগ্রেস তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, দলিত ও দরিদ্রদের নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে যারাই কথা বলবে তাদের কণ্ঠকে রুদ্ধ করতে চাইছে বিজেপি ও তার মিত্ররা। ভারতীয় মিডিয়ায় মামলার খবর প্রকাশ করা হলেও কেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে কিংবা সিপিএম নেতাকে এই মামলায় জড়ানো হয়েছে সে বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়া হয়নি। পিটিআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন