ইনকিলাব ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী প্রিটোরিয়ায় সরকারি কার্যালয় ইউনিয়ন বিল্ডিংয়ের সামনে জড়ো হয় হাজার হাজার প্রতিবাদকারী জনতা। তাদের দাবি, প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। গত সপ্তাহে দেশব্যাপী বিক্ষোভ-মিছিলের পর বুধবারের সমাবেশের ডাক দেয় বিরোধীদলগুলোর একটি সম্মিলিত জোট। এতে আছে বামপন্থি ইএফএফ ও মধ্য-ডানপন্থি ডিএ-সহ আরও কিছু ছোট দল। বিরোধীদলগুলোর মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার এমন নজির আগে ছিল না। এর আগে সমাবেশের নেতৃত্ব দিয়েছিল সুশীল সমাজ ও ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো। কিন্তু এবার অন্তত সাতটি বিরোধীদল একাট্টা হয়েছে। তাদের দাবি, জুমা দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজাচ্ছেন। তাদের বিশ্বাস, বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে জুমাকে সরানো যাবে।
একের পর এক দুর্নীতি কেলেঙ্কারি, বেকারত্বের উচ্চহার, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থর গতির পাশাপাশি অর্থমন্ত্রী প্রবীণ গোর্ধানের সা¤প্রতিক পদচ্যুতি দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার করে। গোর্ধানের পদচ্যুতির পর জুমার দল এএনসির উপ-সভাপতি সিরিল রামাফোসা পর্যন্ত জুমার কঠোর সমালোচনা করেন। যদিও এ মুহূর্তে এএনসি জুমার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে এবং জুমার বিরুদ্ধে যে অনাস্থা ভোটের ডাক দেওয়া হয়েছে, তাকে জয়ের আশা করছে তারা। অনাস্থা ভোট আগামী মঙ্গলবার হওয়ার কথা রয়েছে। তবে তা গোপন ব্যালটে হবে কি না তা নিয়ে আইনি লড়াই চলছে। ফলে এটি পেছাতে পারে।
উল্লেখ্য, ৭৫ বছর বয়স্ক জুমা ডিসেম্বরে দলপ্রধান হিসেবে পদত্যাগ করবেন। ২০১৯ সালেন নির্বাচনের আগে অবশ্য প্রেসিডেন্ট পদও ছাড়তে হবে। তবে উত্তরসূরি হিসেবে তিনি নির্বাচিত করছেন তারই সাবেক স্ত্রী আফ্রিকান ইউনিয়ন এর সাবেক প্রধান নকোসাজানা দলামিনি-জুমাকে। ববিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন