ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র্র মোদী ও এরদোগানের মধ্যে কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনা যাই হোক না কেন, এরদোগান দিল্লি ছাড়তে না ছাড়তেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে মোতায়েনকৃত পাকিস্তানি সেনা শিবিরে সরাসরি হামলা করে ভারতীয় সেনা কম্যান্ডোরা। এ ঘটনায় ৭ পাকিস্তানি সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করেছে। এর আগে সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণা ঘাটি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা ডিঙিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর হামলা চালায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এ সময় দুই ভারতীয় জওয়ানের শিরñেদ করার পরে তাদের অঙ্গহানি করা হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পরপরই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলি গত সোমবার সন্ধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, শহীদ জওয়ানদের আত্মদান বিফলে যাবে না। তার ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা আক্রমণ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এভাবে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা-সহিংসতা বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মোদী সরকার শুধু এরদোগানের প্রস্তাব নাকচই করেনি সাথে সাথে একটা কড়া মেসেজও দিয়েছে যে- এ ব্যাপারে তারা কারো নাগ গলানো পছন্দ্র করেন না। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে সহজেই অনুমেয় কাশ্মীরের ইস্যুটি জিইয়ে রাখার ব্যাপারে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতই বেশি দায়ী। মূলতঃ ভারত চাচ্ছে না কাশ্মীর ইস্যুটি সহজে মিটে যাক। গত সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র্র মোদির সঙ্গে এরদোগানের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন