জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার করা আবেদন কিছু পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া । দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
পরে দুদকের আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, এই আদেশের ফলে খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজ যে আদালতে চলছে, সেখানেই চলবে।
খালেদার আইনজীবী জানিয়েছেন, এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে।
গত ১০ আগস্ট খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি শেষ হয়। এর আগে গত ৭, ৮ ও ৯ আগস্ট খালেদার আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
গত ৬ আগস্ট জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া আবেদন করেন।ঢাকা বিশেষ জজ আদালত ৫ এ বর্তমানে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারকাজ চলছে।এর আগেও খালেদা জিয়ার আবেদনে এই মামলায় আদালত পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
জিয়া অরফানেজ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ টাকা এসেছে সৌদি আরব থেকে। প্রকৃতপক্ষে এই অর্থ কুয়েতের আমির অরফানেজ ট্রাস্টের জন্য দিয়েছেন। যেই টাকা লাভসহ (প্রায় পৌনে ৬ কোটি) এখনও ট্রাস্ট ফান্ডে জমা রয়েছে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
খালেদা ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রাক্তন সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, প্রাক্তন মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন