হারিকেন হার্ভি ও কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি। এখন পর্যন্ত সেখানে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৯ জনের। নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে পানিবন্দি ৩০ হাজার বাসিন্দাকে। বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত টেক্সাসের হিউস্টন শহরে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গড়ে তোলা হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্র। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। পানিতে রানওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে হিউস্টনের দুটি বিমানবন্দর। হারিকেনের পর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন শহরটির বাসিন্দারা। চলতি সপ্তাহে হিউস্টনে ৫০ ইঞ্চির বেশি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সাধারণত এক বছরে এই পরিমাণ বৃষ্টি হয়ে থাকে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টেক্সাস ও দক্ষিণ লুজিয়ানায় আরো ১০ থেকে ২০ ইঞ্চি বৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর এনডবিøউএস। এবারের বন্যায় টেক্সাসের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সোমবার বলেন, মানুষের জীবন বাঁচাতে আমার প্রশাসন টেক্সাস ও লুজিয়ানার স্থানীয় সরকারের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রেখে চলেছে। যারা প্রথম এই দুর্যোগে সাড়া দিয়েছে ও সব সময় বন্যাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজে জড়িত রয়েছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই। বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক অবস্থা পরিদর্শনে টেক্সাসের করপাস ক্রিস্টি শহরে যাবেন ট্রাম্প। এখানেই হারিকেন হার্ভি প্রথম আঘাত হানে। গত ৫০ বছরের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হারিকেন। এরপর ট্রাম্প যাবেন টেক্সাসের রাজধানী অস্টিন শহরে। ২০০৫ সালে নিউ অরলিন্সে আঘাত হানে হারিকেন ক্যাটরিনা। সে সময় নিহত হয় কমপক্ষে এক হাজার ৮০০ জন। টেক্সাসে এবারের বন্যা ক্যাটরিনার সমপরিমাণ বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিমা প্রতিষ্ঠান। বিবিসি, রয়টার্স,এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন