ইনকিলাব ডেস্ক : ব্রিটেনে দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত বিধবাদের মধ্যে সামাজিক রক্তচক্ষু অবজ্ঞা করে নতুন জীবন শুরু করার প্রবণতা বাড়ছে। স্বামীর মৃত্যুর পর নতুন সঙ্গীর খোঁজে ম্যাচ-মেকিং সাইটেও নাম লেখাচ্ছেন অনেকে। ব্রিটেনে দক্ষিণ এশীয় সমাজে এখনও বিধবাদের নিয়ে নানা কুসংস্কার কাজ করে। সামাজিক এইসব সংস্কার থেকে বের হয়ে বিধবাদের নতুন জীবন সন্ধানে সাহায্য করছে সাহেলি নামে একটি সংগঠন। জ্যাস সায়কন নামে একজন বিধবা এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। চল্লিশ বছর বয়সে বিধবা হওয়ার পর নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বিবিসিকে জানান, স্বামী হারানোর পর আমি কি কাপড় পরি, কি প্রসাধনী ব্যবহার করি, তা নিয়েও কিছু মানুষ কথা বলতো।
সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপারে যে মানুষগুলোকে আপনি একসময় সবচেয়ে সাহায্য করেছেন, স্বামীর মৃত্যুর পর তারাই আপনার পেছনে বেশি লাগবে। নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি সাহেলি গড়ে তোলেন। অনেকেই এখন এখানে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যোগ দিচ্ছেন। এসব সমালোচনা কিভাবে সামলাতে হয় সে ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় বিধবাদের ডেকে সভা করে নানাধরনের বুদ্ধি-পরামর্শ দেন তিনি। মনোবল জোগান। তবে সংগঠনের সাথে জড়িত মহিলারা জানালেন, ধীরে হলেও বিধবাদের নিয়ে ব্রিটেনের দক্ষিণ এশীয় সমাজে মনোভাব বদলাচ্ছে। বিধবারা নিজেরাও অনেক সংস্কার থেকে নিজেদের বের করে আনছেন। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন