শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আংকারায় গাড়িবোমা হামলা পিকেকে’র কাজ : দাভুতোগলু

প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কে গাড়িবোমা হামলার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু এই হামলার জন্য কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে’কে দায়ী করেছেন। হামলায় ৩৬ জন নিহত হয় এবং আহত হয়েছে অসংখ্য। প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু আংকারার একটি হাসপাতালে আহতদের দেখতে গিয়ে গত সোমবার বলেন, আংকারা হামলার পেছনে পিকেকে’র ভূমিকার সুস্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। হামলার পর বিদেশি বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার তদন্ত করেছেন।
গাড়িবোমা হামলার পর প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু মন্ত্রিসভায় জরুরি বৈঠক করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, এই হামলা যারা করেছে তাদের ব্যাপারে আমাদের হাতে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। ওদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। একই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এফকান আলা বলেন, গত সোমবার তদন্ত শেষ হয়েছে। কারা এর পেছনে জড়িত তাদের নাম আমরা পেয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, সন্দেহভাজন হামলাকারীদের মধ্যে একজন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) নারী সদস্য। তিনি ২০১৩ সালে ওই দলে যোগ দেন।
ওই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সন্ত্রাসীদের মূল উৎপাটনের প্রতিজ্ঞা করার পর এ অভিযান শুরু হল। এরই মধ্যে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের তিনটি শহরে কারফিউ জরি করা হয়েছে।
আনাদলু নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে কুর্দি অধ্যুষিত ইউকসেকোভা ও নুসাইবিন শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কুর্দি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানও পরিচালিত হয়েছে। এছাড়া, সির্নাক শহরে স্থানীয় সময় ২৩-০০ মিনিটে কারফিউ জারি করা হয়।
হামলার পরদিন সোমবার সকালে উত্তর ইরাকে পিকেকের ঘাঁটিতে তুর্কি যুদ্ধবিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে। তুরস্কের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, ১১টি যুদ্ধবিমান ১৮টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। লক্ষ্যবস্তুগুলোর মধ্যে কান্দিল ও গারা সেক্টরের অস্ত্রভান্ডার এবং শেল্টারও ছিল। পিকেকের পক্ষ থেকেও ওই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে পারছে না বলেই এখন বেসামরিক জনগণকে নিশানা করছে, বলেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান।
সাম্প্রতিক সময়ে তুরস্কে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছে। গত জানুয়ারিতেই ইস্তাম্বুলে এক জঙ্গি হামলায় অন্তত দশজন নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই জার্মান পর্যটক। এর আগে গত বছর অক্টোবরে আঙ্কারায় কুর্দিদের শান্তি সমাবেশে জোড়া আত্মঘাতী হামলায় শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে আক্রান্ত হয় সিরিয়া সীমান্তের কাছে কুর্দি অধ্যুষিত শহর সুরুস। ওই আত্মঘাতী হামলায় ৩০ জন নিহত হয়। বিবিসি, রয়টার্স

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন