মানহানি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকার সিএমএম আদালত।
বাংলাদেশের মানচিত্র ও মুক্তিযুদ্ধের দায়িত্বকে কলঙ্কিত এবং জাতীয় পতাকাকে অপমানিত করার অভিযোগে করা মানহানি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর হাকিম নুর নবী প্রতিবেদনটি ২২ মার্চ আমলে নিয়ে খালেদাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। সমনের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১১ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান (তদন্ত) ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার অপর আসামি জিয়াউর রহমানের মৃত্যু হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে গত বছর ৩ নভেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (মরণোত্তর) ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদী মামলার আবেদনে জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দখল করেন।
এর আগে বিএনপির ডাকে হরতাল চলাকালীন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে অগ্নিসংযোগ করে ৮ জনকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় সোমবার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে কুমিল্লা জেলা জজ আদালত।
২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা দেশব্যাপী লাগাতার হরতাল-অবরোধ চলাকালে চৌদ্দগ্রামে যাত্রীবাহী নৈশ কোচে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে ওই বাসের আট যাত্রী নিহত হন। পরে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই নুরুজ্জামান বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন