শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে

ইরান চুক্তি বাতিলের ক্ষমতা ট্রাম্পের নেই : ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ইনকিলাব ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে স্বাক্ষরিত ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে ট্রাম্পের সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণায় দ্রæততার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। তবে এ ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোকে পাশে পাননি ট্রাম্প। নিরাপত্তা পরিষদের আরেক প্রভাবশালী দেশ রাশিয়াও বরাবরের মতো এ ইস্যুতে ইরানের পক্ষ নিয়েছে। ইউরোপ ও রাশিয়ার নেতারা বলছেন, ঐতিহাসিক এ চুক্তির ব্যাপারে তাদের সমর্থন অটুট রয়েছে। গতকাল শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। ইরান চুক্তি থেকে ট্রাম্পের সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণার পর বিষয়টি নিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখো। অপর এ খবরে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির পরমাণু সমঝোতা থেকে ট্রাম্পের সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণার কঠোর সমালোচনা করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি। তিনি বলেছেন, ইরানের পরমাণু সমঝোতা একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি। এটি কোনও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি নয়। এটা কোনও একক দেশের বিষয় নয়...। কোনও একটি দেশের প্রেসিডেন্ট এককভাবে এটা থামিয়ে দিতে পারে না। মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনেক ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু সেটা এখানে প্রযোজ্য নয়। ইরানের পরমাণু চুক্তি বাতিলের ক্ষমতা কোনও ক্ষমতা ট্রাম্পের নেই। শুক্রবার ট্রাম্পের ঘোষণার কয়েক মিনিটের মাথায় বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ফেডেরিকা মোঘেরিনি বলেন, আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় একটি কার্যকর পারমাণবিক চুক্তি ভেঙ্গে দিতে পারে না। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের এ চুক্তির প্রতি তাদের সমর্থনের বিষয়টি পরিষ্কার করেছে এবং এটা ভবিষ্যতেও বহাল থাকবে। ইউরোপ ও রাশিয়ার নেতারা বলছেন, ঐতিহাসিক এ চুক্তির ব্যাপারে তাদের সমর্থন অটুট রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখো। বিবৃতিতে তিন নেতা বলেন, আমরা আশা করি ইরানের পরমাণু চুক্তির ভিত্তি দুর্বল করে দেওয়া, চুক্তি অনুযায়ী দেশটির ওপর থেকে প্রত্যাহার করা নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করার আগে মার্কিন প্রশাসন এবং দেশটির কংগ্রেস যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের নিরাপত্তায় এর সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়টি বিবেচনা করবে।রয়টার্স,বিবিসি,আল-জাজিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন