নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে সোনাপুর জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ চার লেন বিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ করা হবে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৭০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে এবং অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
নোয়াখালী সড়ক বিভাগের নিবাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল ইনকিলাবকে জানান, বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে সোনাপুর জিরো পয়েন্ট পর্য্যন্ত সড়কের দুই পার্শ্বের ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্ণবাসন, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি সরবরাহ লাইন স্থানান্তরসহ চার লেন সড়ক নির্মাণে উক্ত অর্থ ব্যয় হবে। এতে করে এতদ্বঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। উল্লেখ্য, সোনাপুর জিরো পয়েন্ট হচ্ছে সোনাপুর-সোনাগাজী-জোরালগঞ্জ সড়কের প্রবেশদ্বার। আগামী ২০১৮ সালের জুনে বহুল প্রতীক্ষিত সোনাপুর -জোরালগঞ্জ সড়কটি চালু হলে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের লাখ লাখ অধিবাসী স্বল্প সময়ে বন্দর নগরী চট্রগাম যাতায়ত করতে পারবে।
এছাড়া নোয়াখালী, লক্ষীপুর এবং চাঁদপুর জেলার সড়ক পথের যাত্রীরা সোনাপুর-জোরালগঞ্জ সড়কের মাধ্যমে মাত্র দেড় দুই ঘন্টায় চট্রগ্রাম যাতায়ত করবে। সে হিসেবে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা -সোনাপুর জিরো পয়েন্ট সড়কটি চার লেনে উন্নীত করার সরকারী সিদ্বান্ত সময়োপযোগী। বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা -সোনাপুর জিরো পয়েন্ট চার লেন বিশিষ্ট সড়কটি নির্মাণের পর সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে সূবর্ণচর পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সূবর্ণচর পেরিয়ে এর দক্ষিণ পূর্ব দিকে রয়েছে সেনা বাহিনীর বৃহৎ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্বর্ণ দ্বীপ। এছাড়া সূর্ণচরের দক্ষিণে রয়েছে হাতিয়া উপজেলার সাথে নৌ যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম চেয়ারম্যান ঘাট। চেয়ারম্যান ঘাট থেকে হাতিয়া উপজেলা মূল ভূখন্ড, নিঝুমদ্বীপ, ভাষান চরসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বিদ্যমান। এছাড়া সূবর্ণচর উপজেলায় সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ প্রতিষ্ঠার লক্ষে স্থান নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পেশাজীবি সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে সড়ক পথে গন্তব্যস্থলে যাতায়ত করবে। সে হিসেবে সোনাপুর জিরো পয়েন্ট থেকে সূবর্ণচর এবং হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত সড়কটির গুরুত্ব রাতারাতি বৃদ্ধি পাবে ।
এব্যাপারে নোয়াখালী সদর - সূবর্ণচর আসনের এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ইনকিলাবকে জানান, নোয়াখালীর সার্বিক উন্নয়নে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক। যার ধারাবাহিকতায় নোয়াখালীতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, নোয়াখালীবাসীর দুঃখ নোয়াখালী খাল সংস্কার অচিরেই শুরু হবে। সোনাপুর-জোরালগঞ্জ সড়ক আগামী বছর চালু হবে। এছাড়া নোয়াখালী রেল স্টেশন থেকে চরজব্বর পর্যন্ত সড়ক ও রেল লাইন নির্মাণ হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন