শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কর্পোরেট

রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-কারখানাগুলোকে লাভজনক করতে নতুন নতুন প্রযুক্তি প্রয়োজন

প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্ট : শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া বলেছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-কারখানাগুলোকে লাভজনক করার জন্য পুরোনো প্রযুক্তির পরিবর্তে নতুন নতুন প্রযুক্তি আনা প্রয়োজন। এজন্য শিল্প মন্ত্রণালয় চেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশের শিল্পায়নের গতিধারা বৃদ্ধির জন্য মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন, ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় হ্রাস এবং পরিবেশগত ঝুঁকি কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। দেশে নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জরিপ বা গবেষণা চালানোর প্রস্তাব করে তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত, বাজার বিশ্লেষণ ও দক্ষ জনবলের অভাবে নতুন স্থাপিত শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (এসআর) এশিয়া বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘মেটেরিয়াল ফ্লো কস্ট একাউন্টিং (এমএফসিএ)’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া। ডিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হুমায়ুন রশিদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডিসিসিআই ইটুকে প্রকল্পের কনসালটেন্ট কাজী মো. শফিকুর রহমান, ডিসিসিআই পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম, আবসার করিম চৌধুরী, সাবেক পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান এবং ডিসিসিআই সহ-সভাপতি আতিক-ই-রাব্বানী প্রমুখ। সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (এসআর) এশিয়া বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমাইয়া রশিদ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
ডিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বলেন, সা¤প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। তবে পরিবেশগত দিক থেকে আমরা এখনও কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি। এর প্রধান কারণ হলো শিল্প-কারখানা ও পণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকায় প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহ ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশগত ঝুঁকির বিষয়টি ততটা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয় না। মূল প্রবন্ধে সুমাইয়া রশিদ বলেন, ‘মেটেরিয়াল ফ্লো কস্ট অ্যাকাউন্টিং’-এর ধারণাটি ১৯৯০ সালে প্রথমবারের মত জার্মানিতে প্রয়োগ করা হয়। এটি শিল্প-কারখানায় ব্যয় হ্রাসের একটি কার্যকরী উপায়, যার মাধ্যমে কারখানায় উৎপাদন সংশ্লিষ্ট মালামালের অপচয় মূল্য বের করা ও প্রকৃত উৎপাদন ব্যয় বের করা সম্ভব হয়। মেটেরিয়াল ফ্লো কস্ট অ্যাকাউন্টিং কারখানার অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দিকের মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং গ্রিন ব্যবসা পরিচালনায় সহায়তা করে বলেও জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন