ইনকিলাব ডেস্ক : তিউনিসিয়ায় বেকারত্ব সমস্যা নিয়ে সৃষ্ট আন্দোলন কাসেরিন থেকে দেশটির ছড়িয়ে পড়েছে। সরকারি চাকরি প্রত্যাশীদের তালিকায় নিজের নাম না থাকার হতাশায় এক তিউনিস তরুণ বৈদ্যুতিক তারে শরীর জড়িয়ে আত্মহত্যা করার পর উত্তরাঞ্চলীয় কাসেরিন প্রদেশে গত মঙ্গলবার এ আন্দোলন শুরু হয়। ২০১১ সালে স্বৈরশাসক জয়নাল আবেদিন বেন আলিকে আরব বসন্তের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে দেশটিতে বেকারত্ব বাড়তে থাকে। বর্তমানে দেশটিতে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি তরুণ বেকার এবং ৬২% তিউনিস গ্রাজুয়েটের কোনো কর্মসংস্থান নেই। গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার তিউনিসিয়ার কাসেরিন, সিদি বৌজিদ, ফেরিয়ানা ও রাজধানী তিউনিসে আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সিদি বৌজিদ শহরে আন্দোলনকারীরা সকল প্রকার রাস্তা কেটে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। আন্দোলনকারীদের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষে ফেরিয়ানা শহরে একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫৯ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষে কমপক্ষে ৪০ আন্দোলনকারী আহত হন। এদিকে, রাজধানী তিউনিসে হাজার হাজার আন্দোলনকারী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। এছাড়া দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর গুনেবেলিতে আন্দোলন সমর্থকরা একটি পুলিশ স্টেশন ও বিভিন্ন সরকারি ভবনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বেজি কাইদ ইসেবসি বুধবার জানিয়েছেন, সরকার কাসেরিনবাসীর জন্য ৬,০০০ চাকরির ব্যবস্থা করছে। এছাড়া তিনি দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তেরও আশ্বাস দেন। এদিকে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাবিব এসিদ তার ইউরোপ সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে বলেছেন, আমাদের হাতে জাদুর কাঠি নেই যার মাধ্যমে রাতারাতি বেকারত্ব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন