পাবনা জেলা প্রশাসন ও সরকারি পাবনা মেডিক্যাল কলেজ, সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিএমএ এবং স্বাচিব মুখোমুখি অবস্থানে। যে কোন সময় হাসপাতালে চিকিৎসা বন্ধের ডাক দেওয়া হতে পারে। জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালোর বাসায় চিকিৎসক না পাঠানোর কারণে জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক বিশিষ্ট গাইনী চিকিৎসক ডা: মঞ্জুরা রহমানকে ওএসডি করার প্রতিবাদে এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।
চিকিৎসকরা তাদের তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। তুচ্ছ কারণে ওএসডি করায় চিকিৎসক মহল ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ ওএসডি আদেশ প্রত্যাহার এবং জেলা প্রশাসকের বদলীর দাবিতে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। যে কোন সময় পাবনা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে কয়েক ঘন্টার জন্য কর্ম বিরতি এবং প্রয়োজনে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হতে পারে। এই খবর জানার পর বেশ কিছু রোগী ইতোমধ্যেই হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন মহল থেকে এখনও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। চিকিৎসকরা বলছেন, জেলা প্রশাসক অসুস্থ হয়ে তার বাংলোতে একজন চিকিৎসক পাঠানোর জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: মঞ্জুরা রহমানকে বলেন। তিনি এ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর কথা বলে ডিসি সাহেবকে হাসপাতালে আসতে বলেন। একজন জেলা প্রশাসক ভিআইপি পদ মর্যাদায় চিকিৎসা পাবেন সে কথা চিকিৎসকরাও অস্বীকার করছেন না। তারা বলছেন, হাসপাতালে সরকার যেহেতু অনেক যন্ত্রপাতি দিয়েছেন, সে কারণে ডিসি সাহেবের উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষা- নিরীক্ষা করার জন্য তাঁকে হাসপাতালে আসতে বলা হয়েছিল। ডিসি সাহেব চিকিৎসক না পাঠানোর বিষয়টি সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে জানালে, তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি অবহিত করেন। স্বাস্থ্য বিভাগ পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা: মঞ্জুরা রহমানকে ওএসডি করে ঢাকা ডিজি অফিসে সংযুক্ত করার আদেশ জারি করেন। জেলা প্রশাসন এবং চিকিৎসক মহল কেউ তাদের অহং থেকে ফিরে যাচ্ছেন না। ভুল-বুঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে দ্রæত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য অভিজ্ঞ মহল স্বাস্থ্য ও জেলা প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন