স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনা উল্লেখ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, ড. আতিউর রহমানের (বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য পদত্যাগী গভর্ণর) মতো সৎ ও বিনয়ী মানুষের পদত্যাগে কোনো সমাধান আসবে না। রিজার্ভের টাকা চুরির ঘটনায় ড. আতিউর রহমান বলির পাঁঠা হয়েছেন। এর আগে চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎসহ একটি ব্যাংকের দেউলিয়া হওয়ার ঘটনায় কাউকে এখনো শাস্তি দেয়া হয়নি। গতকাল শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। দেশজুড়ে অব্যাহত শিশু হত্যা বন্ধ করার দাবিতে খেলাঘর আসর ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি সোমেন পোর্দ্দারের সভাপতিত্বে এতে আরো বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় চেয়ারপার্সন ড. মাহফুজা খানম, সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান সাগর, প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. আবু সাঈদ, ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ রিপন প্রমুখ। এছাড়াও মানববন্ধনে খেলাঘর ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন শাখার কর্মীরা অংশ নেন। মানববন্ধনে খেলাঘর আসরের শিশুরা ‘শিশু নির্যাতন ও হত্যা বন্ধে’র দাবিতে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড-ফেস্টুন প্রদর্শন করে।
ড. মিজানুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে শিশু নির্যাতন ও হত্যাকে বর্বরর্তা, অমানবিক, পাশবিকতা বলে উল্লেখ করেছেন। এর সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের স্থান বাংলাদেশে থাকতে পারে না। প্রধানমন্ত্রীর এ উক্তির বাস্তবায়ন আমরা দেখতে চাই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করলে বাংলাদেশ শিশু নির্যাতন ও হত্যার মতো বর্বর ঘটনা থেকে বাঁচবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা অসম্ভবও নয়, দীর্ঘ সময়ের কোনো ব্যাপারও নয়। শিশু নির্যাতন ও হত্যার বিচারে রাষ্ট্রের এক ধরনের ঢিলেঢালা ভাব দেখা যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ড. মিজানুর রহমান।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি আমাদের মাঝে গেড়ে বসেছে। শিশু নির্যাতন ও হত্যা করে কেউ আইনের আওতায় ও বিচারের অধীনে না আসায় এ ধরনের ঘটনা বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, রাজীব ও রাজন হত্যার ক্ষেত্রে সারাদেশে জনমত তৈরি হওয়ায় রাষ্ট্র চাপে পড়ে দ্রুত বিচার করতে বাধ্য হয়েছিল। এ দুই হত্যার বিচারের মতো সব হত্যায় পদক্ষেপ নিলে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ হয়ে যাবে। তিনি বলেন, সারাদেশে শিশু হত্যা ও নির্যাতন যে উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে তার প্রতিবাদে এবং রাষ্ট্র ও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে মানবাধিকার কমিশন এ মানববন্ধনে সংহতি-সম্পৃক্ততা প্রকাশ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন