প্র:- জামাআতে নামাযের জন্যে কোন রাকাতের কোন্ অবস্থায় শামিল হলে ঐ রাকাতটি পাওয়া গেছে বলে ধরে নিতে হবে?
উ:- ঐ রাকাতের রুক‚র মধ্যে ইমামকে পেতে হবে।
প্রশ্নঃ কোন হানাফী লোক শাফেয়ীর পিছনে নামায আদায়কালে ইমাম এমন আয়াত সিজদাহ করলেন যে আয়াতে হানাফীরা সিজদাহ করে না, এমতাবস্থায় হানাফী কী শাফেয়ী ইমামদের ইকতিদা করবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ, ইমামের ইকতিদা সিজদায়ে তিলাওয়াত দিতে হবে। তবে নামাযের বাইরে ঐ আয়াত তিলাওয়াত করতে শুনলে সিজদাহ দিতে হবে না।
প্রশ্নঃ হানাফী যদি মালেকী ইমামের পিছনে নামায শুরু করার পর দেখে যে, যে আয়তে তার উপর সিজদাহ ওয়াজিব হয় সে আয়াত তিলাওয়াত করেও মালেকী ইমাম সিজদাহ করেনি, তখন সে কী করবে?
উত্তরঃ তাকেও সিজদাহ করতে হবে না। কারণ, ইমাম সিজদাহ করলেই কেবল মুক্তাদীর উপর সিজদাহ ওয়াজিব হয়। এমনকি হানাফী ইমামও যদি সিজদার আয়াত সিজদাহ না করে তাহলে মুক্তাদির উপর সিজদাহ ওয়াজিব হবে না। (গায়াতুল আওতার)
প্রশ্নঃ সিজদায়ে তিলাওয়াত কার উপর ওয়াজিব হয়?
উত্তরঃ প্রাপ্তবয়স্ক ও বুদ্ধিসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলমান এর উপর সিজদাহর আয়াত পড়া বা শোনার কারণে সিজাদয়ে তিলাওয়াত ওয়াজিব হয়।
প্রশ্নঃ সিজদাহর আয়াত পড়া বা শোনার পরও কাদের উপর সিজদাহ ওয়াজিব হয় না?
উত্তরঃ অমুসলিম, পাগল, নাবালক ও হায়েজ-নিফাসী মহিলা। তবে এদের কাছ থেকে অন্য মুসলমান শুনলে তার উপর ওয়াজিব হবে।
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন