হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : হবিগঞ্জে স্কুলছাত্রী উত্ত্যক্তের জের ধরে শহরতলির দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে মহিলাসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এ সময় বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৭ জনকে সিলেট ও ৩০ জনকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে হবিগঞ্জ উচ্চ বালিকা স্কুলের ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী স্কুল থেকে তার বাড়ি নোয়াগাও যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বাইপাস সড়কের আনোয়ারপুর পয়েন্টে পৌঁছুলে আনোয়ারপুর গ্রামের কয়েকজন যুবক তাকে উত্যক্ত করে। বিষয়টি জানতে পেরে স্কুল ছাত্রীর বড় ভাই নিজাম উদ্দিন ঘটনাস্থল আনোয়ারপুর পয়েন্টে এসে এর প্রতিবাদ করলে যুবকরা তার সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। এসময় উত্যক্তকারীদের সাথে তার বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনার পর নোয়াগাও গ্রামের ফুল মিয়া ব্যবসা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি আনোয়ারপুর পয়েন্টে যাওয়া মাত্র আনোয়াপুরের লোকজন তাকে মারধর করে। এ খবর নোয়াগাও গ্রামে পৌছুলে লোকজন উত্তেজিত হয়ে আবারো দু’গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় নোয়াগাও গ্রামের উত্তেজিত লোকজন আনোয়ারপুর গ্রামে প্রবেশ করে বেশকয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করে বলে আনোয়ারপুর গ্রামের লোকজন জানান। কয়েকটি দোকানও ভাংচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় সংঘর্ষে প্রায় ৭০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত ফুল মিয়া, তোফাজ্জুল, মন্নার আলী, জসিম উদ্দিন, তোতা মিয়া, শাহ আলম ও জামিলকে সিলেট এবং পলাশ, আল-আমিন, জিয়াউল, সালেক, রায়হান, আসকির, সুমন, শিপন, জুনু, নাঈম, আজমত আলী, জাহাঙ্গীর মিয়াসহ ৩০ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন