বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ অপরিবর্তিত
কার্তিক মাস শেষের দিকে হেমন্তের মাঝামাঝি এখন। মৃদু কুয়াশা আর তুষারপাতের সাথে হিমেল হাওয়ার সাথে হালকা শীত অনুভূত হওয়ারই কথা। কিন্তু দেশের আবহাওয়ামন্ডলে বিরাজ করছে বৈপরীত্য কিছুটা অস্বাভাবিকতা। মৃদুমন্দ শীতের পরিবর্তে দিনমান জুড়ে গরম পড়ছে। আর রাতের বেলায় হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। কোথাও কোথাও ভোরে কুয়াশা আর পড়লেও তা বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্নভাবে। এখনও তা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। গতকাল (রোববার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ভোলায় ৩৩.৪, ঢাকায় ৩২.৬ ডিগ্রি সে.। যা স্বাভাবিকের স্থানভেদে চেয়ে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বেশি।
একজন আবহাওয়াবিদ জানান, সুদূর উত্তরের সাইবেরীয় হিমশীতল বায়ুর আগমন শুরু হয়নি এখনও। ঊর্ধ্বাকাশে জেটবায়ু নিচের দিকে নামছে না। বঙ্গোপসাগরে বিরাজ করছে লঘুচাপ। এসব কারণে শীতের আগমন ধীরলয়ে হতে পারে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ বিরাজ করছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আজ (সোমবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামী ২ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই বৃষ্টির পর অর্থাৎ অগ্রহায়ণ মাসে শীতের মাত্রা ক্রমেই বেড়ে যেতে পারে।
এদিকে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানা গেছে, এ বছর ভরা শীতকালে অর্থাৎ আগামী পৌষ-মাঘ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আগামী জানুয়ারি মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে একটি মাঝারী (৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সে.) থেকে তীব্র (সর্বনিম্ন ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সে.) ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাসে জানান। চলতি নভেম্বর মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরমধ্যে অন্তত একটি ঘূর্ণঝড়ে রূপ নিতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন