কর্পোরেট রির্পোট : সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববাজারে জ্বালানির মূল্য কমছে। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতির মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি। তবে জ্বালানির অব্যাহত দরপতনের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজার সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও দীর্ঘমেয়াদি চিন্তায় এটি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সুফল বয়ে আনবে। সম্প্রতি এমনটিই জানিয়েছেন জেপি মরগান ও গোল্ডম্যান স্যাকসের শীর্ষস্থানীয় দুই কর্মকর্তা। খবর এএফপি। জেপি মরগানের প্রধান নির্বাহী জেমি ডিমন বলেছেন, নতুন বছরের শুরুতেই জ্বালানির যে দরপতন দেখা গেছে, তার প্রভাব খুব দ্রুত সমন্বয় করা যাবে। এ কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় কোনো ধস নামবে না বলে তিনি আশা করছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে (ডব্লিউইএফ) অংশগ্রহণের জন্য ডিমন বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অবস্থান করছেন। সেখানে সিএনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বাজারের উত্থান-পতন থেকে অর্থনীতিকে আলাদা করে দেখতে হবে। তার মতে, জ্বালানির মূল্য কম থাকায় ভারত ও জাপানের মতো শীর্ষ দেশগুলো বেশ উপকৃত হবে। এছাড়া মার্কিন ভোক্তারাও এর সুফল পাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। এদিকে গোল্ডম্যান স্যাকসের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা হার্ভে স্কোয়ার্টজের বক্তব্যও ঠিক যেন ডিমনের বক্তব্যেরই প্রতিধ্বনি। স্কোয়ার্টজ বলেছেন, অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি পতনকে জ্বালানির দরপতনের সঙ্গে মেলানো যাবে না। তার মতে, জ্বালানিমূল্যকে কেন্দ্র করেই বিশ্ববাজার নিয়ন্ত্রিত হয়। জ্বালানির দাম কমার ফলে বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের খরচ অনেকটা কমে যাবে বলে তিনি জানান। বৈশ্বিক শেয়ারবাজারের বিবর্ণ অবস্থার মধ্যেই খানিকটা আশার আলো দেখালেন এ দুই কর্মকর্তা। জ্বালানির দরপতনের কারণে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় শেয়ারবাজারগুলোয় লেনদেনের হার নিম্নমুখী রয়েছে। ইউরোপ ও নিউইয়র্কের স্টক এক্সচেঞ্জগুলোয় সর্বশেষ লেনদেনের হার ছিল ২ দশমিক ৫ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন