সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

বিশ্ব মানবতার দিশারী মহাগ্রন্থ আল-কুরআন

মিযানুর রহমান জামীল | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সমগ্র পৃথিবী তথা বিশ্বজাহান টিকে থাকার জন্য কুরআনের অস্তিত্ব জরুরী। আর এই কুরআনের অস্তিত্বের উপর নির্ভর করে দুনিয়ার সকল নেজাম। যতো দিন কুরআন নিয়ে অবহেলা চলবে ততদিন মুসলমান চরম হতাশা ও বিপদগ্রস্থ থাকবে। সুতরাং কুরআনের হেফাজত জরুরী। এই কুরআনই মানবসভ্যতার আলোকবর্তিকা। জীবন জিজ্ঞাসার সমাধান। কুরআনে কারীম সংরক্ষণের দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ তাআলাই নিয়েছেন। সূরা হিজরের ৯ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

‘নিশ্চয় আমি এ কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।’ কুরআনে কারীমকে কেয়ামত পর্যন্ত প্রকাশ্য মুজিযা বানিয়ে দেয়া হয়েছে। মানব জাতি ও জ্বিন জাতির প্রতি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে- কেউ পারলে এর মতো একটা সূরা বানিয়ে আনো। কিন্তু সকলে অপারগ হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বনী ইসরাইলের ৮৮ নং আয়াতে ইরশাদ করেন-‘হে রাসুল! আপনি বলুন, যদি সমস্ত মানুষ ও জ্বিন এই কুরআনের অনুরূপ বর্ণনা করে আনয়নের জন্য জড়ো হয় এবং তারা পরষ্পরে সাহায্যকারী হয়; তবুও তারা কখনও অনুরূপ রচনা করে আনতে পারবে না।’ বুখারী শরীফে হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘রাসূল সা. ইরশাদ করেন-‘যে ব্যক্তি কুরআনে কারীম পাঠ করে এবং এর হাফেজও হয়, আল্লাহ তাআলার সম্মানিত হিদায়াত দানকারী ফেরেশতাদের সাথে তার স্থান হবে। আর যে কুরআনে কারীম তিলাওয়াত করে এবং মুখস্ত করে, (হাফেজ হতে চেষ্টা করে) সে দ্বিগুন সওয়াবের অধিকারী হবে।’
এখান থেকে আমরা আমাদের উপলদ্ধির দরজায় একটু করাঘাত করে দেখি এ ব্যাপারে আমাদের ভেতরের বোধ শক্তির কী ভাষ্য? না, পারি না। প্রতিদিন এক পৃষ্ঠাও তিলাওয়াত করতে পারি না। তবে এ কুরআনের নূর আমি কীভাবে অর্জন করবো? এই কালামের বরকত আমি কীভাবে পাবো?
সহীহ মুসলিম শরীফের এক হাদীসে আছে, ‘আমি এমন একটি কিতাব অবতরণ করেছি, যা পানিতে ধুয়ে ফেলা অসম্ভব। আর আপনি শুয়ে বসে সর্ব অবস্থায় তেলাওয়াত করতে পারেন।’ অন্যান্য আসমানি কিতাবসমূহ একমাত্র দেখে পাঠ করা হতো। শুধু নবীগণের মুখস্থ ছিল। পক্ষান্তরে কুরান শরীফ দেখে এবং মুখস্থ সর্বাবস্থায় পাঠ করা যায়। উম্মতে মুহাম্মদির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে কুরান অসংখ্য লোকদের অন্তরে গাঁথা আছে।
হযরত ইমাম বোখারী রহ. এর তারীখে কাবীরের মধ্যে হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত আছে ‘যে উঠতি বয়সে কুরানে কারীম শিখলো অর্থাৎ হিফজ করলো; আল্লাহ তাআলা এ কালামকে তার রক্ত মাংসের সাথে মিলিয়ে দেন।’ দুঃখের বিষয় হলো আমাদের দিল থেকে আস্তে আস্তে কুরআনের আযমত মুহাব্বত আর ভয় চলে যাচ্ছে। যার কারণে আমরা চারদিক থেকে বিপন্ন, বিপদ গন্থ, হতাশায় আক্রান্ত, অত্যাচারে মজলুম। সুতরাং আমাদের জীবনের প্রতিটি ধাঁপে এই কুরআনের হুকুম যেন অগ্রাধিকার থাকে। যতো দিন আমরা এই কুরআনের রজ্যুকে আঁকড়ে ধরে রাখবো ততদিন আমরা পথহারা হবো না। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
লেখক : সম্পাদক কলমসৈনিক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন