স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর আদাবরে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির মামলায় আপোষ করে শেষ রক্ষা পাননি অভিযুক্ত এসআই রতন কুমার হাওলাদার। বাদীকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল জামিন নিতে যান ওই এসআই। তবে ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়। শ্লীলতাহানির শিকার যুবদল নেতার স্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর দায়ের করা মামলায় এর আগেই আসামি এসআই রতন কুমার হাওলাদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। গতকাল রোববার আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন এসআই রতন। তার আবেদনে বলা হয়, মামলার বাদীর সঙ্গে তার আপোষ হয়ে গেছে, আসামি জামিন পেতে পারেন। শুনানি চলাকালে বাদী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে বলেন, আসামির জামিনে তার কোনো আপত্তি নেই। জবাবে বিচারক বলেন, মামলার এই পর্যায়ে জামিন আবেদন মঞ্জুরের সুযোগ নেই।
এসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওই ছাত্রী ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পথে শিয়া মসজিদের কাছে তার পথরোধ করেন এসআই রতন। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের একটি দোকানে। যেখানে কোন লোকজনের উপস্থিতি ছিলোনা। সেখানে স্বামীর খোঁজ জানতে তাকে নাজেহাল করা হয়। এছাড়া ইয়াবা ট্যাবলেট রয়েছে এ অভিযোগে তল্লাশির নামে অশ্লীল মন্তব্য করার পাশাপাশি গায়ের জ্যাকেট খুলতে বাধ্য করেন। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় ঘটনাটি। পরদিন ওই ছাত্রী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নালিশি মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে ১ ফেব্রুয়ারি বরখাস্ত হন রতন। এদিকে আদালত মামলা আমলে নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ পেয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শেখ হাফিজুর রহমান তদন্ত করে যে প্রতিবেদন দেন তাতে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়। ওই ছাত্রী মামলা করার পর এসআই রতনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকেও কমিটি করা হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি এসআই রতনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় এসআই রতনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন