ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে গতকাল শুক্রবার দুপুরে প্রধান অতিথির ভাষণে আইনমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নির্বাচিত সরকারের অধীনেই ২০১৯ সালের সংসদ নির্বাচন হবে এবং সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন নির্বাচন কমিশনই অবাধ,সুষ্ঠ নির্বাচন সম্পন্ন করবে। তিনি খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, নির্বাচনে আসা না আসা আপনার ব্যাপার। আপনারা না আসলেও নির্বাচন হবে। আপনার জন্য সংবিধান পরিবর্তন করার প্রশ্নই উঠেনা। মন্ত্রী বলেন, আপনার আমলে দেশকে ৫বার দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচয় করে দিয়েছিলেন। নিজে এতিমের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মামলা করেছে আপনার তৈরি সেনা প্রধান মইন ইউ আহমেদ তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে। যাকে আপনি নয়জন অফিসার ডিঙ্গিয়ে প্রমোশন দিয়েছিলেন। আপনার লজ্জা থাকা উচিৎ। কারন সারা বিশ্বে জেনে গেছে আপনার পরিবার দুর্নীতিগ্রস্থ। আপনার আমলে বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে কলংকিত করেছিলেন। শেখ হাসিনা সরকারে এসে সেই কলঙ্ক মোচন করেছেন। বিদেশ থেকে অস্ত্র এনে আসামে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করতেন। দশ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়ার পর বিশ্ববাসী তা জানতে পেরেছেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আপনার ছেলে তারেক জড়িত। আপনি আবার রাজনীতি করেন? আমি জানিনা আপনি কিভাবে মানুষকে মুখ দেখান।
মন্ত্রী আরো বলেন, ব্যারিষ্টার মওদুদ সাহেব হুমকি দেয় শেখ হাসিনার কাছে দুটি পথ খোলা আছে। একটি হলো তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠন করে নির্বাচন দেয়া অন্যটি ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া। মন্ত্রী বলেন, আমি নিজে দেখেছি তিনি আওয়ামী লীগের টিকিটের জন্য নেতাদের বাড়িতে, অফিসে ধর্ণা দিতেন। তিনি ক্ষমতা ছাড়া কিছুই বুঝেন না। তিনি যে দলে গিয়েছেন সেই দলকে ডুবিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে তিনি জিয়াউর রহমানের দলে যান। জিয়াকে ডুবিয়ে পরে এরশাদের দলে যোগ দেন। এরশাদ যখন ডুবলেন তখন আবার খালেদা জিয়ার দলে গেলেন এবং তাকেও ডুবালেন। এই হলো তার চরিত্র। তিনি বিধবা মহিলার বাড়ি আত্মসাৎ করেছিলেন। আইন তাকে কান ধরে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর দল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠন করবে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ আর ২০৪১ সালে হবে বিশ্বের একটি উন্নত দেশ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আনিসুল হক ভূইয়া, আওয়ামী লীগ যুগ্ন আহŸায়ক এমজি হাক্কানী, রাশেদুল কাউসার জীবন, রুহুল আমিন ভূইয়া বকুল, কসবা পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীন সুলতানা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিলকিছ বেগম, ছাত্রলীগ সভাপতি মনির হোসেন, সাধারন সম্পাদক আফজাল হোসেন রিমন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। পরে বিকেলে সাংগঠনিক অধিবেশন শুরু হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন