স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বজনদের অভিযোগ, চিকিৎসকদের অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার কারণে মা ও নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। মা ফাতেমা আক্তার কনা ও নবজাত কন্যার মৃত্যুর পর হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষ নিজেদের আড়াল করতে সরে পড়ছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন।
গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে মুগদা থানা-পুলিশ দুজনের লাশ উদ্ধার করে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে। মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিনহাজুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মা ও তার নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৮। ময়নাতদন্ত শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফাতেমার বোন টুম্পা জানান, আগামী ১৯ এপ্রিল সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন ডাক্তাররা। কিন্তু গতকাল অসুস্থ বোধ করলে কনার স্বামী তারেক হাসান তাকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে রাত ৯টা দিকে অপারেশন করা হয়। এরপর রাত ১২টার পর ফাতেমা মারা যান। ভোরের দিকে নবজাতকটিও মারা যায়।
টুম্পার অভিযোগ, ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসার জন্যই তার বোন ও ভাগনি মারা গেছে। তা ছাড়া একই সঙ্গে দুজনের মৃত্যু হতে পারে না।
জানা যায়, মৃত ওই নারীর গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির পূর্ব মির্জানগর গ্রামে। তিনি ঢাকার যাত্রাবাড়ী ৬০/১৯ এফ ধলপুর ঠিকানায় স্বামীর সঙ্গে বাস করতেন।
মৃত ফাতেমা আকতার কণার মামা শাহজাহান জানান, কণা গর্ভবতী ছিল। আগামী ১৯ এপ্রিল সিজারের দিন ছিল। তবে রবিবার বিকেলে হঠাৎ তার প্রসব ব্যথা শুরু হলে বিকেল ৫টার দিকে মুগদার ৫০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে রাত দেড়টার দিকে সিজার করেন চিকিৎসকরা। তারা জানান, মৃত কন্যাসন্তানের জন্ম হয়েছে। এর কিছুক্ষণ পর কণাকেও মৃত অবস্থায় অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করা হয়। তিনি দাবি করেন, ভুল চিকিৎসার কারণেই কণার মৃত্যু হয়েছে।
মুগদা থানার এসআই মো. মিজানুর রহমান বলেন, রাত দেড়টার দিকে ওই হাসপাতাল থেকে মৃত নারী ও নবজাকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে আনা হয়েছে। এ বিষয়ে মুগদা থানায় একটি মামলা করেছেন মৃত নারীর স্বজনরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন