রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নতুন প্রজন্মের স্বপ্নপূরণ

শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক

রেবা রহমান, যশোর থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

উদ্বোধন ১০ ডিসেম্বর
আগামী ১০ ডিসেম্বর গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যশোরে স্মরণকালে বড় প্রকল্প নবনির্মিত ‘শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে উদ্বোধন অনুষ্ঠান বিষয়ক প্রস্তুতি সভায় এ তথ্য জানানো হয়। শেখ হাসিনা আইটি পার্ক প্রকল্পের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাহাঙ্গীর আলম গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উদ্বোধনের সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন উৎপাদনমুখী জনবল সৃষ্টি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যশোরে আন্তর্জাতিক মানের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হবে। সেই থেকে যশোরের নতুন প্রজন্ম স্বপ্ন দেখতে থাকে। দীর্ঘদিন পর স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিতে যাচ্ছে। স্বপ্ন পুরণ হবে শিক্ষিত বেকারদের। সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কটিতে কমপক্ষে ১৬ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
যশোর শহরের নাজির শংকরপুর এলাকায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় সাড়ে ৯ একর জমি ও জলাধারের ওপর প্রকল্পের কাজ দ্রæতগতিতে এগিয়ে চলছে। চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের প্রথমে পার্কটির উদ্বোধন হবে। এতে শুধু যশোর নয়, দক্ষিণ-পশ্চিমের (খুলনা বিভাগ) ১০ জেলার অর্থনৈতিক চিত্র বদলে দেবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাপ্রকাশ করেছেন। কম্পিউটারের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফ্রি-ল্যাঞ্চিং, কল সেন্টার ও রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট- এ চারটি সেক্টরে দেশ-বিদেশের আইটি (তথ্য ও প্রযুক্তি) শিল্প উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পার্কটি চালু হলে আইটি খাতে উদ্যোক্তারা এখানে ব্যবসা করবেন। দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য সব সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা হবে যশোর শেখ হাসিনা আইটি পার্কে।
জাপানি উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী ডরমেটরি ভবনের ১১ তলার পুরোটাতে আন্তর্জাতিকমানের জিম স্থাপন করা হয়েছে। আর সব বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে ভূমিকম্প প্রতিরোধক কম্পোজিট (স্টিল ও কংক্রিট) কাঠামোতে। এছাড়া প্রতিটি ফ্লোরে ১৪ হাজার বর্গফুটের জায়গা রয়েছে।
প্রস্ততি সভায় এই সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইতোমধ্যে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন। তিনি বলেন এ পার্কের মূলভবনে ইতোমধ্যে জাপানের দুটি কোম্পানিসহ ৫৫টি কোম্পানিকে পার্কে আইটি ব্যবসার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্টার্টআপ কোম্পানি হিসেবে তরুণদের বিনামূল্যে পুরো একটি ফ্লোর বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলাকে টার্গেট করেই যশোরে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক করা হয়েছে। দেশ-বিদেশের আইটি শিল্প উদ্যোক্তারা এখানে বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। এ পার্কে মূলত সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফ্রিল্যান্সিং/আউটসোর্সিং, কল সেন্টার, রিসার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আর অ্যান্ড ডি)- এ কাজ হবে। প্রকল্পের সার্ভে প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এতে থাকছে ৩৩ কেভিএ পাওয়ার সাব- স্টেশন, ফাইবার অপটিক ইন্টারনেট লাইন এবং অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিসের সুবিধা । ধারণা করা হচ্ছে এ পার্কে ১২ হাজার লোকের আয়ের উৎস হবে।
উল্লেখ্য এর আগে ৫ অক্টোবর এ সফটওয়্যার পার্কে চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রয় ৩০টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিলো। উদ্বোধনের পর শুরু হবে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন